Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চোখের অসহায় রোগীদের নিয়ে আইকন ও ডাঃ সফিকের রমরমা ব্যবসা

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পদ শূন্য। বর্তমানে দুজন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে চোখের রোগীদের শুধুমাত্র দৃষ্টি ও চশমা পরীক্ষার সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একজন প্রশিক্ষণে থাকায় বর্তমানে সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম। খবর আসে সেখানে বসে তিনি হাসপাতালের বিপরীতে অবস্থিত আইকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে রোগী পাঠান। সত্যতা যাচাইয়ে পরপর দুইদিন হাসপাতালে অবস্খান নেয় প্রতিবেদক । এতেই ধরা পরে রোগী বাগানোর বিষয়টি। অধিকাংশ রোগীকেই দেয়া হচ্ছে, অটো রিফ্লেকশন নামের একটি পরীক্ষা। মৌখিকভাবে বলে দেয়া হচ্ছে আইকন অপটিক্যাল এন্ড চক্ষু সেন্টারের নামও ঠিকানা। রোগীরা ঠিকমত বুঝতেও পারছেন না কিভাবে তাদের নিয়ে ব্যবসা করছে চিকিৎসক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রোকসানা। তিনি বই পড়তে গেলে চোখে ঝাপসা দেথেন। হাসপতাল থেকে তাকে এক মাসের ঔষধ দেয়া হয়েছে। একমাস পর অবস্থার উন্নতি না হলে অটো রিফ্লেকশন পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। কোথায় করবেন পরীক্ষা জানতে চাইলে তিনি জানান, আইকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নাম তাকে বলা হয়েছে। সেখান থেকে তিনি যেন পরীক্ষাটি করেন।

শামীমা নামের অপর এক রোগী তো আইকনকে পরীক্ষার নামই মনে করেছেন। তিনি বলেছেন, ডাক্তার একমাসের ঔষধ দিয়েছেন। না সারলে আইকন পরীক্ষা করাতে বলেছেন।

রোগীকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কেন পাঠাচ্ছেন? জানতে চাইলে ডাঃ সফিকুল ইসলাম, হাসপাতালের অটো রিফ্লেক্টর যন্ত্রটি নষ্ট উল্লেখ করে প্রথমে ওই প্রতিষ্ঠানে রোগী পাঠানোর কথা অস্বীকার করেন এই চিকিৎসক। কিন্তু এরপরই আবার স্বীকার করে বলেন, কাছাকাছি থাকায় রোগীদের সুবিধার জন্যই সেখানে পাঠানো হয়। বেলা ২.২০ মিনিটে আইকন অপটিক্যাল এন্ড চক্ষু সেন্টারে গিয়ে দেখা যায় ডাঃ সফিক নিজেই সেখানে রোগী দেখছেন। চক্ষু বিশেষজ্ঞ না হয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চোখের রোগী কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে, সদর হাসপেতালে রোগী দেখে তিনি প্রশিক্ষিত হয়েছেন বলে জানান।

আইকন অপটিক্যাল এন্ড চক্ষু সেন্টারের পরিচালক খোকন খান বলেন, আমার একজন পার্টনার, স্বাধীন বাংলা চক্ষু হাসপাতালের ডিপ্লোমা ডাক্তার। তিনি ডাক্তার সফিকের সাথে কথা বলেছেন। আমরা জানি ডাঃ সফিক সদর হাসপাতালে চক্ষু রোগী দেখেন তাই তাকে এখানে বসিয়েছি।

ডাঃ সফিককে পক্ষপাত না করার জন্য নির্দেশনা দিবেন বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বা্ধায়ক মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, তাদের নজরদারি চলমান আছে, কোন অনিয়ম করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।






Shares