ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্দ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হারুন আল-রশিদের মৌলভীপাড়াস্থ বাস ভবনে বাদ মাগরীব জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জি: খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের সভাপতিত্ত্বে ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক (১) এড: আনিসুর রহমান মঞ্জুর সার্বিক পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো: জিল্লুর রহমান, সহ-সভাপতি এড: শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি মোবারক মুন্সি, সহ-সভাপতি এড: গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব এবিএম মোমিনুল হক, সাবেক সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবু শামীম মো: আরিফ, সাবেক প্রচার সম্পাদক নজির উদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নূরে আলম ছিদ্দিকি, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো: আলী আজম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: আজিম, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এড: এমএ করিম, সাবেক তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক এড: শামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শামীমা বাসির স্মৃতি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এড: ইসমতআরা, সাধারণ সম্পাদিকা হুসপিয়ারা, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুর রহিম গোলাপ, সদস্য সচিব বুলবুল আহমেদ মুছা, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব এড: আরিফুল হক মাসুদ, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বায়েজিদ হেলাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর ঐতিহাসিক সিপাহী জনতার বিপ্লব সংগঠিত হয়েছিল। দেশ বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল কুচক্রীদের হাত থেকে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সাধারণ সিপাহীরা সেদিন এক মহান বিপ্লবে অংশ নিয়েছিলেন। গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছিল আমাদের প্রিয় সেনা প্রধান জিয়াউর রহমান এবং তাকে বসিয়েছিলেন বিপ্লবের মহানায়কের আসনে। জনতার স্বত:ফুত অংশ গ্রহণে এই বিপ্লব অন্যমাত্রা লাভ করেছিল সেদিন। সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্র। অথচ বাংলাদেশে এসব কিছু রক্ষাকবচ জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে ধ্বংস করার পায়তারা চালাচ্ছে অবৈধ ক্ষমতা দখল করে বর্তমান দেশ বিরোধী সরকার বিদেশী প্রভুদের মদতে। এমনকি জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক জিয়া পরিবারকেও ধ্বংস করার নির্লজ্জ্ব অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়েছে তারা। দেশের স্বাধীনতা বিরোধী নানা কর্মকান্ড বাধাহীনভাবে সম্পন্ন করার কুমতলবেই যে বর্তমান অবৈধ সরকার এধরনের কর্মকান্ড চালাচ্ছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। দেশের মানুষ আজ মোটেও ভাল নেই। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারা ধারাবাহিক ভাবে ক্ষুন্ন করা হয়েছে এবং জনবিচ্ছিন্ন একটি লুটেরা গোষ্ঠী দেশ ও জনগনের কাঁধের উপর সিন্দাবাদের ভূতের মত চেপে বসে আছে।
বক্তারা আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাস চালিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নাজক করে তোলা হয়েছে। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ সর্বত্র নির্লজ্জ দলীয় করণের ফলে দেশ জুড়ে আজ অদক্ষতা, অচলাবস্থা ও চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। সামগ্রীকভাবে বাংলাদেশকে একটা অকার্য্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এই দেশ বিরোধী অবৈধ সরকার। বাংলাদেশের মানুষের অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সংকীর্ন দলীয় স্বার্থে একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করে চিরস্থায়ী করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তারা।
বক্তারা আরও বলেন, আজকে যখন ৭ই নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা করছি আমাদের জেলার শীর্ষ নেতারা কারাবন্দি। মিথ্যা মামলায় বিরোধী দলমতকে স্তব্দ করার জন্য তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় এর কঠোর সমালোচনা করে এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বক্তারা পাশাপাশি অবিলম্বে আটককৃত সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন বক্তারা। প্রেস রিলিজ