ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় প্রচন্ড গরমে জন-জীবন অতিষ্ঠ,হাসপাতালে বাড়ছে রোগী
আমিনুল ইসলাম:: ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় প্রচন্ড গরমে অস্তির হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন।সেই সাথে প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষ যেন জীবন যাএা ও স্বাভাবিক জন-জীবন অস্তির হয়ে পড়েছে।একটু স্বস্তির আশায় চারপাশে ছুটছে মানুষ।দিনের বেলা প্রচন্ড রোদ্র তাপ অার সন্ধার পর ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে মানুষের জীবন যাএা নার্ভিশ্বাস হয়ে পড়েছে।শুধুই শরীর থেকে ঘামই নয়, অসুস্হ হয়ে শিশু-কিশোর অার বয়স্ক মানুষ।পানির তৃষ্ণা যেন কিছুতেই মিটছে না।
ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে দুপুরের রোদ্র-তৃপ্ত বাতাসে যেন আগুনের শিখা গ্রাস করছে সমস্ত শরীরে।এর সঙ্গে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে লোড শেডিং।
ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে মানুষের জীবন -জীবিকা।কোথাও একটু স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতে পারছেনা সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ।এযেন প্রচন্ড রোদ্র-তাপ অার গরমের সাথে যুদ্ধ মানুষের বেচে থাকা।
বিশেষ করে,রিক্সা ভ্যান ও খেটে খাওয়া শ্রমিকরা ঠিকমত কাজ করতে না পারায়,মানবেতর জীবন যাপন করছে।গ্রীস্মের তাপদাহ শুরু থেকেই থাকার কারণে গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণ একটু বৃৃষ্টির জন্য “আল্লাহ মেঘ দেও,পানি দেও” জারি গেয়ে বৃষ্টিকে আহ্বান করছে।
কথা হয় ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাএ আতিকুল ইসলামের সাথে, তিনি জানান প্রত্যেকদিন এই গরমে আসা যাওয়া করতে অনেকটাই বিরক্তি কর লাগে।দুপুরের প্রচন্ড তাপে যেন অদিষ্ট হয়ে যায় শরীর ।মাঝে মাঝে রাস্তার পাশ থেকে তৃষ্ণা মিটানো বিভিন্ন মৌসুমী ফল ও বিভিন্ন নামী -দামী কোম্পানীর কোমল পানীয় পান করতে হয়। তাও অাবার সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে , যা ইচ্ছে করলেই সব-সময় খাওয়া যাইনা।
ব্রাক্ষনবাড়ীয়া সদর হাসপাতালে কথা হয় শিশু বিশেষঙ্গ ডা: মনির হোসেনর সঙ্গে তিনি জানান, এই প্রচন্ড গরমে শিশু পানি বাহিত রোগীর সংখ্যা প্রত্যেক দিন বেড়েই চলেছে।পানি শূন্যতা আর তাজা খাবার না খাওয়ার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে বেশীর ভাগ মানুষ।তবে তীব্র রোদ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি খাওয়া -দাওয়া সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি চিকিৎসক হিসেবে।
এছাড়া ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে মায়ের দুধ আর বেশী বয়সী হলে স্বাভাবিক খাবার বন্ধ না করার পরামর্শও দেয়া হয়।গ্রীষ্মকালের প্রখর সূর্য।যার প্রচণ্ড তাপে শরীর থেকে ঝরছে ঘাম।অসহনীয় তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই সাধারন মানুষের , রোজগারের আশায় ঘর থেকে বের হওয়া এসব মানুষেরা যেন ফুট পাত থেকে অাজে বাজে খাবার থেবে বিরত থাকে।
প্রচন্ড গরমে সবচেয়ে বেশি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে।তবে গরমে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিলেন এই চিকিৎসক।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষঙ্গ ডা. মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘গরমে বিশেষ করে শিশুসহ সব বয়সের মানুষেরা ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়।কখনও কখনও ঠাণ্ডাও সর্দি কাশি লাগে আবার কখনও হিট স্ট্রোকও হয়। তিনি আরো বলেন, এই গরমে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। কারণ এই গরমে শরীর থেকে ঘামে প্রচুর পরিমাণে লবণাক্ত পানি বের হয়।যার কারণে বেশি পরিমান পানি পান করলে শরীরের তৃষ্ণত দুর হয়।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে,বাতাসে আর্দ্রতা অনেক বেশি হওয়ায় গরমের অনুভূতি অনেক বেশি।তবে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকলে গরমের অনুভূতি কিছুটা কম হতো।