বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম অনুপ্রেরণাদাত্রী ছিলেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব



১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ শাহাদাৎ বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ৫ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ১৭দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর চতুর্থদিন গতকাল ৮ আগস্ট মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় মহিলা সংস্থা, শহর মহিলা আওয়ামী লীগ ও জেলা যুব মহিলালীগের যৌথ আয়োজনে শিল্পকলা এডাডেমী মিলনায়তনে বিকাল ৪টায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মঞ্জুরা বেগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ইন্সট্রাক্টর জেসমিন খানম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডঃ তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত। জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি ফরিদা নাজমীনের সভাপতিত্বে ও জেলা যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি মুক্তি খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হালিমা মুর্শেদ কাজল, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য ও সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারা বেগম, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখি, সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক মোহসেনা আলী প্রমুখ। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন যুব মহিলা লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ সাহেদা আক্তার।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মঞ্জুরা বেগম বলেন, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মনেপ্রাণে একজন আদর্শ বাঙালি নারী ছিলেন। স্বামীর রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বান্তকরণে সহযোগিতা করেছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দানশীল। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পশ্চাৎপদ মানুষদের মুক্তহস্তে দান করতেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রোগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, কারাগারে আটক নেতাকর্মীদের খোঁজখবরাদি নেয়া ও পরিবার-পরিজনদের যে কোনো সংকটে পাশে দাঁড়াতেন। ইতিহাসে তাই বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেবল একজন সাবেক রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই নন; বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক স্মরণীয় অনুপ্রেরণাদাত্রী। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকার সময়ে আন্দোলন চলাকালীন প্রতিটি ঘটনা জেলখানায় সাক্ষাতের সময় বঙ্গবন্ধুকে জানাতেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশ নিয়ে আসতেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে সে নির্দেশ জানাতেন, নেপথ্যে থেকে তিনি ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি অনুপ্রেরণা, শক্তি, সাহস, মনোবল ও প্রেরণা জুগিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এই মহীয়সী নারী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে দেশ ও জাতির সেবা করে গেছেন।