প্রতিবাদেও যদি মায়ানমার সরকারের বোধদয় না হয় মায়ানমারের উদ্দ্যেশে লংমার্চ
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেংকের পাড়, আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্বওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের আয়োজনে এক বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত গণমিছিল শেষে আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজীর সভাপতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাউতলী মোড়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান, আল্লামা মুফতি মুবারকুল্লাহ্, আল্লামা বেলায়েতুল্লাহ্ নূর, মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী, আল্লামা নোমান আল হাবিবী, আল্লামা মেরাজুল হক কাসেমী, মুফতি আব্দুল হান্নান কাসেমী, আল্লামা মারুফ কাসেমী, মুফতী এনামুল হাসান, মাওলানা ইউসুফ ভূইয়া, হাফেজ মাওঃ জুনাইদ কাসেমীসহ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রত্যেক থানার প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।
সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া গণমিছিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় সকল মাদ্রাসা থেকে বাস-ট্রাকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকগণ। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ তৌহিদী জনতাও গণমিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এক পর্যায়ে গণ মিছিলটি একটি গণবিস্ফোরনে রূপ নেয়, কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়, আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ। মিছিলটি শুরু হলে তৌহিদী জনতার পদভারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর কার্যত অচল হয়ে পরে। লাখো জনতার এই মিছিলটি টেংকের পাড় থেকে শুরু হয়ে জেলা শহর প্রদক্ষিণ করে কাউতলী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা মুনিরুজ্জামান সিরাজী বলেন, আজকের লাখো জনতার উত্তাল প্রতিবাদেও যদি মায়ানমার সরকারের বোধদয় না হয়, তাহলে মায়ানমারের উদ্দ্যেশে লংমার্চ ঘোষণা করা হবে। আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান বলেন, আজকে মায়ানমারের মুসলমানদেরকে বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশের প্রত্যেক মুসলমানদের উপর জিহাদ করা ফরজ হয়ে গেছে। প্রয়োজনে বাংলাদেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামগণ মায়ানমারের মুসলমানদেরকে বাঁচাতে জিহাদ ঘোষণা করবে। আল্লামা মুফতি মুবারকুল্লাহ্ বলেন, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলো আজ কোথায়? অন্য ধর্মের লোকেরা নির্যাতিত হলে আপনারা চেঁচিয়ে উঠেন অথচ আজ মায়ানমারে মুসলমানদের উপর নির্মমভাবে গণহত্যা চালানো হচ্ছে আপনারা নিরব ভূমিকা পালন করছেন! কেন? কার সার্থে।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ভারত থেকে বনে ভেসে আসা একটি হাতিকে মিডিয়া “বঙ্গবাহাদুর” বানিয়ে দিয়েছে অথচ রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্তে মায়ানমারের নাফ নদী রক্ত সমুদ্রে পরিণত হচ্ছে। মিডিয়াগুলো আজ নিরব!
বক্তাগন প্রধান মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে আরও বলেন, আজ হাজার হাজার মুসলমান মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ মগসন্ত্রাসীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে আহাজারী করছে। আপনি বিশ কোটি মুসলমানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিন। যাতে করে মুসলমানগণ একটু মাথা গুঝার ঠাঁই নিতে পারে ।