“পরের বার মাগনা দিলেঅ আমুনা “
পরের বার যদি বলে ভাড়া দেউন লাগব না, উল্টা টাকা দিব তবুও আমু না। এবারে আমার লাভ তো দূরের কথা উল্টা দেড় লাখ টাকা লস হবে। কথা গুলো ঢাকার ব্যবসায়ী আলমগীর মিয়ার। শহেরর বডিং মাঠে (অন্নদা স্কুলের খেলার মাঠ)চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি আয়োজিত কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় রাজু কসমেটিক্স এন্ড গিফট আইটেম নামের স্টলে বসে এ ভাবে এ প্রতিবেদকের কাছে কথা গুলো বলছিলেন আলমগীর মিয়া। একই অবস্থা মেলায় অংশ নেয়া প্রায় প্রতিটি স্টল মালিকের। সবাই বিক্রয়কর্মীদের পারিশ্রমিক ও খাবার খরচ নিয়েই চিন্তা করছেন। তাদের সকলেই পরবর্তী মেলায় আমন্ত্রণ পেলেও তাতে অংশগ্রহনে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
আলমগীর মিয়া জানান, দৈনিক খরচ হচ্ছে নূন্যতম ৫০০০ টাকা।আর আয় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। এখন কি করে কি করে বলেন? জুবায়ের থ্রীপিস গ্যালারীর ম্যানেজার মো: ফরহাদ জানান তারা বিকাশে টাকা এনে খাবার বিল শোধ করেছেন।
ব্যবসায়ীদের কাছে প্রশ্ন ছিল কেন এ অবস্থা হলো ? তারা জানিয়েছেন, মেলায় জন সমাগম নেয় বললেই চলে। এর মধ্যেও যারা আসেন, তারা দেখেই চলে যান। মেলার প্রচারণার কোন উদ্যোগ নেইনি কমিটি। এমনকি কয়েকবার আবেদন করেও কোন সুফল মেলেনি। তাদের দাবি, মেলা প্রাঙ্গণকে সুসজ্জিত ও বৈচিত্রপূর্ণ করা হলে মেলার অবস্থা বিপরীত হতে পারতো।
এ বিষয়ে কথা হয় মেলা কমিটির আহবায়ক ও চেম্বার এন্ড কর্মাসের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজিন আহমেদ এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবি যৌক্তিক। তাদের লোকসান হয়েছে। আবহাওয়ার প্রতিকূলতাকে এজন্য দায়ী করেছেন তিনি।
মিষ্টার তানজিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জীবনে আর কোনদিন আমি মেলার আয়োজনে থাকবনা।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডিস্ট্রি আয়োজিত কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাংসদ র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। মেলা আজ ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।