Main Menu

নাসিরনগর ইস্যুতে সাংবাদিকদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের মত বিনিময়

+100%-

dcsডেস্ক ২৪:: নাসিরনগরের ঘটনার তিন সপ্তাহ পর ঘটনার পরবর্তী সার্বিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এই সহযোগিতা চান।

মতবিনিময়কালে নাসিরনগরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এসময় পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, নাসিরনগরের ঘটনা নিয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। ইতোমধ্যে চারজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ ছাড় পাবেনা। ঘটনার জড়িতদের সনাক্ত করতে পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রযুক্তি নির্ভর ১০ সদস্যের একটি টিম কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গত ১২ জানুয়ারি ঘটনা একদিনেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাণ্ডবের সঙ্গে নাসিরনগরের ঘটনা কিছু মিল, কিছু অমিল রয়েছে। মৌলবাদী চক্রের পাশাপাশি অন্য একটি চক্র এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ওই চক্রটিকে ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের এখন নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আর নাসিরনগরের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে অনেকের বিষয়ে দুই ধরণের তথ্য থাকায় গ্রেফতারে একটু সময় নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরিই তাদের গ্রেফতার করা হবে। তবে নিরাপরাধ কেউ গ্রেফতার করা হবে না বলে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়।

সাংবাদিকদের কাছে এ নিয়ে কোনও তথ্য থাকলে তা দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, নাসিরনগরের পরিস্থিতি এখন শান্ত। আগুনের ঘটনাগুলো পরিস্থিতিকে কিছুটা উত্তপ্ত করছে। কে বা কারা সেটা করছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসন গঠিত কমিটি মূলত ঘটনা কিভাবে ঘটেছে প্রশাসেনর কি ভূমিকা ছিল এসব বিষয় দেখা হচ্ছে। ইউএনও প্রত্যাহারই শেষ কথা নয়। এ বিষয়ে অন্য ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। নিরাপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে বলে তার পক্ষ থেকেও আশ্বস্থ করা হয়।মতবিনিময় সভায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।






Shares