ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতাল ভাংচুরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএমএ’র মানববন্ধন



ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতাল ভাংচুরের প্রতিবাদে ও চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত চিকিংসকরা। বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ’র) কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অশংহিসেবে আজ রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এসময় চিকিংসকরা কালো ব্যাজ ধারন করে। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডাঃ এফ জামান এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ। এসময় ডাঃ শওকত হোসেন, ডাঃ ফকরুল ইসলাম আশেক সহ জেলা বিএমএ’র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সহিত লক্ষ্য করছি যে ইদানিং বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কিছু উশৃঙ্খল সন্ত্রাসী হাসপাতাল ভাংচুর চিকিৎসকদের উপর হামলায় লিপ্ত হচ্ছে।
আমাদের প্রশ্ন, ভুল চিকিৎসায়ই যদি রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে তড়িঘড়ি করে পোষ্টমর্টেমের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ উদঘাটন না করে মৃতদেহের দাফন করা হয় কেন? বক্তারা আরও বলেন, সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই আমরা চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া শিখেছি মানুষের রোগ নিরাময় করার জন্য কাউকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য নয়। সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনার জন্য যিনি মামলা করেছেন তাকেই প্রমান করতে হবে রোগীর মৃত্যু হয়েছে “অবহেলায়” অন্যথায় হাসপাতাল ভাংচুর ও চিকিৎসক লাঞ্চনার দায় দায়িত্ব তাকে বহন করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বক্তারা, হাসপাতালে হামলাকরে ভাংচুর ও চিকিংসকদের বিরুদ্ধে মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এবং দোষী ব্যক্তিদের আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার করে দ্রুত্র বিচারের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।
প্রসংঙ্গত, গত ১৮ মে বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ সেন্ট্রাল হাসপাতালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আফিয়া জাহান চৈতি’র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নামধারী কিছু সন্ত্রাসী সেই হাসপাতালে ভাংচুর ও সেখানে কর্তব্যরত সিনিয়র চিকিৎসকসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীকে মারধর করে আহত করে। আহত দুইজন চিকিৎসককে পুলিশ নিরাপদ হেফাজতের নামে থানায় নিয়ে মামলায় দিয়ে গ্রেফতার দেখান এবং বাংলাদেশের জাতীয় ও সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য খ্যাতিমান চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।