জেলা হোটেল সেক্টরে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরী ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার ‘হোটেল সেক্টরে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরী ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলটি সংগঠনের জেলা শাখার কার্যালয় শহরের জগতবাজার থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সদস্য চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কমরেড নজরুল ইসলাম। জেলা হোটেল সেক্টরে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরী ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন পাঠানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা কমিটির উপদেষ্টা নিমাই ঘোষ, জেলা কমিটির নেতা সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ আলী, দীনেশ পাল, দুলাল পাল, মহিউদ্দিন জ্বিলানী, সঞ্জু মালাকার, আলী আজম, এরশাদ, তোফায়েল, কুদ্দুছ, হোসেন, মুন্না, বারেক, নিয়াজ, জামাল, সেলিম, গোপাল, আকাশ ও খলীল, সিনিয়র সদস্য শফিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী ও উৎসব বোনাস প্রদান করতে হবে। ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধে শ্রম আইনের ৫ ধারা অনুুযায়ী নিয়োগ পত্র, পরিচয় পত্র প্রদানসহ শ্রম আইন কার্যকরী করার দাবীতে চলমান আন্দোলনকে জোরদার করার দাবী জানিয়ে বলেন, হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য মূল মজুরী ১০ হাজার টাকাসহ মজুরী কাঠানো অবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে। বক্তারা বিকল্প কাজের ব্যবস্থা না করে সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনের নামে হোটেল-রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল বন্ধ ও উচ্ছেদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।প্রেস রিলিজ
সমাবেশে বক্তারা কিশোর শ্রমিক রিয়াদ হত্যাকারী ঘরোয়া হোটেলের মালিক সোহেলকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন, অন্যথায় শ্রমিকদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বক্তারা শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধানের দাবীও জানান। যাতে আর কোনো শ্রমিক এভাবে নিহত না হয়। সমাবেশে ‘হোটেল সেক্টরে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরী ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও হোটেল শ্রমিকগণ উপস্থিত ছিলেন।প্রেস রিলিজ