জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ২০ নভেম্বর রোববার
ডেস্ক দেশে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের প্রথমবারের ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ২৮ ডিসেম্বর।
এখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দের দিন ঠিক করে পূর্ণাঙ্গ তফসিল আগামী রোববার ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যেহেতু হাতে সময় কম তাই ২০ নভেম্বরের (রোববার) মধ্যে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতেই হবে। তা না হলে কষ্টকর হয়ে যাবে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে জেলা পরিষদ নির্বাচন ও আচরণ বিধিমালার ভেটিংও সম্পন্ন হয়ে নির্বাচন কমিশনে এসেছে। এখন আমরা বাকি কাজগুলো করছি।’
ইসির একটি সূত্র জানায়, সরকারঘোষিত তারিখ অনুযায়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ২৮ ডিসেম্বর। আর মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় নির্ধারণ করা হবে ৩০ নভেম্বর। যাচাই-বাছাই হবে ২ ও ৩ ডিসেম্বর। প্রত্যাহারের শেষ সময় হবে ৯ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১০ ডিসেম্বর।
সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণের জন্য প্রত্যেক জেলায় ১৫টি করে বুথ থাকবে। জেলায় অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
এ নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা শুধু ভোটই দিতে পারবেন কিন্তু তারা প্রার্থী হতে পারবেন না। আর বাংলাদেশের ২৫ বছর বয়সী যেকোনো ভোটার জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারলেও ভোট দিতে পারবেন না।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, তিন পার্বত্য জেলা বাদে সারা দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে প্রায় ৬৫ হাজার জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এঁরাই নির্বাচনে ভোট দেবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রতিনিধি রয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদে। প্রতিটি ইউপিতে জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ ভোটার ১৩ জন।
এই হিসাবে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায় সাড়ে ৫৮ হাজার। এ ছাড়া ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে তিনজন করে প্রায় দেড় হাজার, ৩২০টি পৌরসভায় সাড়ে পাঁচ হাজার এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে প্রায় সাড়ে ৫০০ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন।