আড়াই ঘণ্টা সরাইল থানায় বসে ছাত্রদল নেতাকে ‘ছাড়ালেন’ রুমিন ফারহানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরাইল থানায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে ছাত্রদলের এক নেতাকে ‘ছাড়িয়ে আনলেন’ বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। বিএনপির ওই নেত্রীর অনুরোধের পর পরিবারের লোকজনের জিম্মায় শনিবার রাতে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. জুম্মানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
হয়রানি করতেই পুলিশ ওই ছাত্রদল নেতাকে আটক করে বলে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন। তিনি বিষয়টিকে উদাহরণ হিসেবে টেনে এভাবে দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
পুলিশ বলছে, চেকপোস্টে নিয়মিত তল্লাশির সময় জুম্মানসহ তিনজন তাদের সামনে পড়েন। এর মধ্যে দুজন দৌড়ে পালিয়ে গেলে সন্দেহবশত জুম্মানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে আটকের খবর পেয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা থানায় এসে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা শনিবার জেলার সরাইল উপজেলায় নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন। তিনি শনি ও রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আশুগঞ্জ ও সরাইলে বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রুমিন ফারহানার সঙ্গে দেখা করার জন্য জুম্মান শাহজাদাপুরে যাওয়ার সময় শনিবার সন্ধ্যার দিকে পুলিশের হাতে আটক হন। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে থানায় ছুটে যান রুমিন ফারহানা। এ সময় তিনি তাকে আটকের কারণে জানতে চান এবং কোনো ধরনের অপরাধ না করে থাকলে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। পরে পুলিশ জুম্মানের অভিভাবককে ডেকে এনে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেন। এরপর থানা থেকে চলে আসেন রুমিন ফারহানা।
রবিবার দুপুরে আশুগঞ্জের একটি হোটেলে বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘কালকে (শনিবার) রাতে আমার ছাত্রদলের এক নেতাকে ধরে নিয়ে গেছে। আমি থানায় গেছি। আমি বলেছি, যতক্ষণ ছাড়া না হয় তাহলে থানায় বসে থাকব। এরপর আড়াই ঘণ্টা বসে ছিলাম। এরপর পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এভাবে পাশে দাঁড়ালে পুলিশের শক্তি নাই আমাদের সাথে পারবে।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘তল্লাশির সময় তিন যুবক চেকপোস্টের সামনে পড়ে। এর মধ্যে দুজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। সন্দেহ হলে পালিয়ে না যাওয়া জুম্মানকে আটক করা হয়। পরে আমরা জানতে পারি সে কোনো অপরাধী নয়। খবর পেয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা থানায় এসে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। খোঁজ নিয়ে তাকে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।’