আজ জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী



ডেস্ক ২৪:: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ সোমবার। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে শহীদ হন তিনি।
দিনটি স্মরণে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের পরই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুর ঘাটের বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণায় দেশবাসী মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনা পান। এরপরই আপামর জনতা পাকিস্তানের কবল থেকে দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের পর তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তার ডাক নাম ছিল ‘কমল’। বাবা মনসুরুর রহমান ও মা জাহানারা খাতুনের দ্বিতীয় ছেলে কমল ছোটবেলা থেকেই লাজুক ও গম্ভীর প্রকৃতির ছিলেন। বাবার চাকরির সুবাদে কলকাতায় তার বাল্যপাঠ শুরু হয় সেখানকার হেয়ার স্কুলে। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে বাবার সঙ্গে করাচি চলে যান তিনি। জিয়াউর রহমান ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯৫৩ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং কমিশন পান ১৯৫৫ সালে। ১৯৬৬ সালে তিনি কাবুলে পাকিস্তান সামরিক একাডেমিতে ইন্সপেক্টর হন এবং একই বছর শেষদিকে কোয়েটা স্টাফ কলেজে যোগদান করেন। ১৯৭০ সালের অক্টোবরে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্ব দিয়ে তাকে পাঠানো হয় চট্টগ্রামে।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার কুলখানি, মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করেছে।