আঙ্গুর আউট,রশিদ ইন- আলোচনা সুহিলপুর ইউনিয়নের আনাচে কানাচে



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিতর্কিত ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুরের পরিবর্তে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আব্দুর রশিদ ভূইয়া। আঙ্গুর আউট,রশিদ ইন- আলোচনা জমে উঠে ইউনিয়নের আনাচে কানাচে।
গত রোববার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মনোনয়ন ঘোষনার পর আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে সুহিলপুরের মনোনয়ন।
গত রোববার গণবভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে সুহিলপুর ইউনিয়নে আব্দুর রশিদ ভূইয়াকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়।
কেন্দ্রে যেসব প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়েছিল- তাদের মধ্যে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী আব্দুর রশিদ ভূইয়া। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমান কমিটির সদস্য। তাকে মনোনয়ন দেওয়ার খবরে সুহিলপুরজুড়ে চলছে আনন্দ-উল্লাস। সুহিলপুর বাজার এলাকায় আনন্দ মিছিল করেছেন রশিদের কর্মী-সমর্থকরা। রশিদের বাড়ি সুহিলপুর গ্রামে। ওই গ্রামের ভোটার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া আব্দুর রশিদ ভূইয়া বলেন, আমার ওপর আস্থা রেখে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যদি নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করব।
ওদিকে, বর্তমান চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুরকে মনোনয়ন না দেওয়ার কারণ নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আঙ্গুরের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধনও হয়। মানববন্ধনে আঙ্গুর ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর সুহিলপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সম্মেলনস্থলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগে চেয়ারম্যান আঙ্গুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আদালতে মামলা হয়। ওই মামলার এজহারে তার বিরুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে অশালীন আপত্তিকর স্লোগান দেওয়া এবং তাদের ছবি সংবলিত ব্যানার ও নৌকার প্রতিকৃতি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়।