অধ্যাপক শান্তনু কায়সার লেখায় ও বক্তৃতায় ছিলেন অনবদ্য–কবি দিলীপ দাস
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতিভাবান লেখক,গবেষক,সাহিত্যিক অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের মহাপ্রয়াণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শোকমিছিল ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০ টায় তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে শোকমিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের কার্যকরী সদস্য প্রভাষক মাসুম মিয়ার সভাপতিত্বে ও সম্পাদক বাছির দুলালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরার গণমানুষের কবি দিলীপ দাস,নাট্যজন মনজুরুল আলম,জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজ অধ্যক্ষ হরিলাল চন্দ্র দেবনাথ,সংগঠনের উপদেষ্টা এটিএম ফয়েজুল কবীর। শ্রদ্ধা জানান নাগরিক ফোরাম সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত,পৌর কাউন্সিলর খবির উদ্দিন আহমেদ,সরকারী কলেজ শিক্ষক আশরাফুল আজিজ,সংগঠনের সহকারী সম্পাদক স্কুল শিক্ষক শফিকুর রহমান,তিতাস আবৃত্তি সংগঠন পরিচালক মো.মনির হোসেন,সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার দেবনাথ,পৌর কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুল ইসলাম। এসময় কবি দিলীপ দাস বলেন,অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের পড়াশুনার ক্ষেত্রে যেমন ব্যাপক ব্যপ্তি ছিলো তেমনি লেখায় ও বক্তৃতায় তিনি ছিলেন অনবদ্য। এই বহুমাত্রিক লেখক বাংলা ভাষার সর্বত্রই ছিলেন জনপ্রিয়। তাঁর বক্তৃতা যারা একবার শুনেছে তারা বারবার শোনবার আগ্রহ দেখিয়েছে। শান্তনু কায়সার বেঁচে থাকবেন তাঁর লেখনির মাধ্যমে। তাঁরমতো সৃজনশীল মানুষেরা আমাদের মাঝে যতো বেঁচে থাকবেন ততোই আমাদের লাভ। মানুষ হিসাবেও তিনি ছিলেন খুব মানবিক-বন্ধুবৎসল। নাট্যজন মনজুরুল আলম বলেন,প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সার্থক কথাকার অদ্বৈত মল্লবর্মণকে নিয়ে শান্তনু কায়সারই প্রথম গবেষনা শুরু করেন। তাঁর মাধ্যমেই আমরা অদ্বৈত মল্লবর্মণকে নতুন করে পাই। তিতাস একটি নদীর নাম উপন্যাস নিয়ে প্রথম নাট্য ভাবনা শান্তনু কায়সারই করেন। তিনি লেখায় ও বক্তব্যে সমাজের অসংগতি সার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।