Main Menu

“বঙ্গবন্ধু একটি ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন” -খাদ্য মন্ত্রী

+100%-

প্রতিবেদক : খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এম.পি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু একটি ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন।  তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তিনি সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৪তম জয়ন্তী ও তাকে দেয়া সংবর্ধনার জবাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।


প্রধান মন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব, বিশিষ্ট লেখক, মুক্তিযোদ্ধা ও চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আরো বলেন, অতীতের সরকারগুলো স্বাধীনতার খন্ডিত ইতিহাস, বিকৃত ইতিহাস প্রচার করেছে। যার জন্য আমাদের যুব সমাজ অন্ধকারে ছিল। তারা মিথ্যা শুনেছে। আজ আমাদের নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে পেরে শাহবাগে আন্দোলন করে। তারা আজ একাত্তরের শত্রু-মিত্র চিনতে পেয়েছে। নতুন প্রজন্ম আজ রাজাকারদের ফাঁসির জন্য আন্দোলন করছে। তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ২৩ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তাদের কাছে বঙ্গবন্ধুর কথা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে হবে।

 


খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম আরো বলেন, যারা দেশে জঙ্গীবাদ চায়, দেশে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করতে চায় তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে দেশটাকে ভালোবাসতে হবে। সবার মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। দেশের উন্নয়নের চাকাকে এগিয়ে নিতে হবে।


তিনি বলেন, গত ৫ বছরে দেশে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়ন হয়েছে সকল সেক্টরে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে পৃথিবীর সকল দেশের সাথে প্রতিযোগীতা করছে। তিনি বলেন, যারা মিথ্যা কথা বলেন, তাদের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে দেশ সভায় সকলকে এগিয়ে যেতে হবে।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাউশির ডিজি প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, জেলা প্রশাসক ডঃ মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা পরিষদ প্রশাসক সৈয়দ এমদাদুল বারী, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান পিপিএম( বার), পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর প্রফুল্ল চন্দ্র দেবনাথ, আখাউড়ার পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার, বিএসটিএমপিআইএ’র প্রেসিডেন্ট আজিজুল হক ও জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মকবুল আহমেদ। অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রীর সহধর্মিনী তৈয়বা ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ২৭জন কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়।


এর আগে প্রধান অতিথি চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন এবং প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিকব্য হালিমা-রৌফ মিলনায়তনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারী-বে-সরকারী অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন ও দলীয় নেতা-কর্মী এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।






Shares