সাংবাদিকদের কর্মবিরতি পালন: এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী অপসারন দাবী
প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকেদের সঙ্গে ঔদ্যত্বপূর্ন আচরন করে কেউ পার পাবেনা-সাংবাদিকদের প্রতিবাদ সমাবেশে আল মামুন সরকার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার বলেছেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের রাজনৈতিক কোন পৃষ্ট পোষকতা নেই। ইতিপূর্বেই আমরা একথা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছি। সাংবাদিকদের সংগে অন্যায় ভাবে ঔদ্যত্বপূর্ণ আচরন করে কেউ পার পাবেনা। যারা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোর চেষ্টা চালায়, তাদের বিরুদ্ধে তিনি হুশিয়ারী উচ্চারন করেন। আওয়ামীলীগের এই সাংবাদিক বান্ধব নেতা আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকদ ও প্রেসক্লাবের সংগে আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। তাদের যে কোন সমস্যা আমরা পাশে থাকবো। তিনি সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশ ও জনগনের কল্যানে কাজ করার আহবান জানান। সাংবাদিকের বাস ভবনে হামলা ও তাদের স্বজনদের হুমকি দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে। সাংবাদিক সমাবেশে সভাপত্বি করেন প্রেসক্লাব সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা। গত সপ্তাহে এলজিইডি’র সংবাদ পরিবেশনকে কেন্দ্র করে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাখাওয়াত হোসেরন পছন্দের ঠিকাদার ওয়াহিদ শামীমের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় সিনিয়র দুই সাংবাদিকের সংগে ঔদ্যত্বপূর্ণ উক্তি প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।
সাংবাদিকদের কর্মবিরতি পালন:: এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী অপসারন দাবী
কর্মবিরতি পালন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন। বৃহষ্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক সমাবেশ শেষে সাংবদিকরা এ কর্মবিরতি পালন করে। এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মিথ্যা মামলার উষ্কানীদাতা মোঃ সাখাওয়াত হোসেনকে অবিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রত্যাহার, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিকের বাস ভবনে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়। বিক্ষুদ্ধ সাংবাদিকরা হাত থেকে কলম, ক্যামেরা, লিখনী প্যাড রেখে এ কর্ম বিরতি পালন করে। এতে প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, সহ সভাপতি আল আমিন শাহিন, সাধারন সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন জামি, প্রবীণ সাংবাদিক মনজুরুল আলম, আব্দুন নুর, মোহাম্মদ আরজু, পিযুষ কান্তি আচার্য্য, জাবেদ রহিম বিজন, বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ সকল সাংবাদিকরা অংশ গ্রহণ করেন। অবিলম্বে নির্বাহী প্রকৌশলীকে অপসারন না করলে এবং সাংবাদিকদের দাবী দাওয়া পূরন না হলে বৃহত্তর কর্মসূচী দেয়া হবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়।