Main Menu

আবারও গ্যাস ফিল্ডসের প্রধান কার্যালয় ৪ ঘন্টার জন্য ঘেরাও

+100%-

প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের বাছাই করা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৪৩ জন চাকরি প্রার্থী নিয়োগপত্রের দাবিতে কোম্পানির প্রধান কার্যালয় অাবারও ঘেরাও করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বিরাসার এলাকায় তারা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। বিক্ষোভকারীরা এসময় কোম্পানির অফিসের ভেতরে কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢুকতে দেয়নি।

সমাবেশে চাকরি প্রার্থীরা বলেন, ‘চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা নেওয়ার পরও অামাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না। উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বারবার গড়িমসি করা হচ্ছে।‘

জানা যায়, ১৯ অক্টোবর ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ) নসিবুজ্জামান তালুকদার অান্দোলনকারীদের ২২ অক্টোবর পেট্রো বাংলায় অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। এরপর ২০১২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ও ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এবং সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ঘেরাও এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

প্রসঙ্গত ২০০৮ সালের ৩০ মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদানের পর ২০১১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানির কম্পিউটার অপারেটর, গাড়িচালক, ইলেক্ট্র্রিশিয়ান ও এটেনডেন্ট এই চার কর্মচারী পদে জনবল নিয়োগের জন্যে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর ১৪৩ জনকে নিয়োগের জন্যে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়।

এ অবস্থায় নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সংসদীয় কমিটি তা তদন্ত করে। পরে তৎকালীন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল ইসলাম ও মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ) মজিবুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে অনিশ্চয়তায় পড়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি।নিয়োগপ্রার্থীরা প্রায় চার ঘণ্টা কার্যালয় ঘেরাও করে রাখেন। চার ঘণ্টা অবরোধের পর বিজিএফসিএল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে কথা বলেন। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বেলা ১১টার দিকে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। বিজিএফসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) রফিকুল আলম বলেন, ‘সাংসদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে আমরা ১০ দিন সময় নিয়েছি।’

এর প্রেক্ষিতে গত বছর হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। উচ্চ আদালত চলতি বছরের ২৩ জুন নিয়োগ দেওয়ার জন্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে ছয় মাস সময় বেঁধে দেন। কিন্তু ওই রায়ের চার মাস পেরিয়ে গেলেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এখনও নিয়োগ দানের কোনও কার্যক্রম শুরু করেনি।






Shares