Main Menu

তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত, অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ ও গ্রামীণ ফোনের পৃষ্টপোষকতায় রোববার বিকেলে তিতাস নদীতে  উৎসবমুখর পরিবেশে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১ টি নৌকা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৪টা নাগাদ শুরু হয় এ বাইচ। শহরের শিমরাইলকান্দি গ্যাস ফিল্ড এলাকা থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। শিমরাইলকান্দি ঘাট থেকে বাইচ শুরু হয়ে মেড্ডা শ্মশান ঘাটে গিয়ে শেষ হয়। নৌকাবাইচ উপলক্ষে তিতাসের দুই পাড়ের বাসিন্দাদের মাঝে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ। বাঁধ ভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠে সবাই।


প্রতযোগিতা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্রগ্রাাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ডঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন,পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান । জেলা প্রশাসক ডঃ মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন পৌরসভার মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন,জেলা অওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রমুখ। শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করেন।

এদিকে, বাইচে অংশ নেয়া কয়েকজন প্রতিযোগি অনুষ্ঠানে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলেন, প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন নৌযান বাইচের চারদিকে পাল্লা দিয়ে চলে। বাইচ এ অংশ নেয়া নৌযান গুলোর উচ্চতা কম হওয়ার সামান্য ঢেউ ও এর চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। এ দিকে প্রশাসনের বড় মাপের একটি স্পীডবোট বাইচ চলাকাীলন সময়ে উল্টোপথে যাত্রা করে। এতে একটি নৌকা বাইচ থেকে সরে দাড়িয়ে দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। এ দৃশ্য ধরা পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াটোয়েন্টিফোরডটকম এর ক্যামেরায়।

এ ছাড়া ছোট বড় বিভিন্ন প্রকার যান ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে দেখা গেছে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারে বাইচের বারোটা বাজাতে। আওয়ামী অংগ সংগঠনের বিভিন্ন পদপ্রার্থী কয়েকজনকে দেখা গেছে পুরষ্কার বিতরণী মঞ্চের ঠিক সামনে এসে স্থানীয় সাংসদের ছবি ও নিজের দাবি সংবলিত পোষ্টার সাটিয়ে পাড়ে থাকা দর্শক ও মিডিয়ার লোকজনের কাজে বিঘ্নতা সৃষ্টি করতে। এ ছাড়াও অশ্লীল গান ও নাচ ছিল পুরো বাইচ এলাকা জুড়ে। এছাড়াও কয়েকজন প্রতিযোগী তাদেরকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন। পুলিশ ছিল দুরন্ত। তারা বুলেট গতিতে স্পীডবোট নিয়ে শুধু বাশি বাজিয়ে দ্বায়িত্ব শেষ করেছে। যদিও জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বাইচ পূর্ববর্তী আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলনে সাধারন নৌকা ও স্পীডবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে তার উল্টো।  


এদিকে পৃষ্টপোষক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোনের পৃষ্ঠপোষকতায় চরম অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হয়েছে। তারা পুরষ্কার বিতরণী যে স্টেজ বানিয়েছে সেটা ছিল নড়বড়ে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক প্রভাষক মনির হোসেনকে বেশ কয়েকবার মাইকে ঘোষণা দিয়ে অতিরিক্ত লোকজনকে নামাতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও উদ্বোধনী মঞ্চের অবস্থা ছিল খুবই করুন।

নৌকা বাইচ শহুরে মানুষের বিনোদনের একটি অংশ। অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে এই বাইচ দেখার ইচ্ছে পোষণ করেন। কিন্তু এ সকল অব্যবস্থাপনার জন্য তা আর হয়ে উঠেনা। জেলাবাসী পরবর্তী আয়োজনে এই ত্রুটিগুলো কাটিয়ে উঠে একটি সুন্দর সাবলীল বাইচ আয়োজনের দাবী জানান।






Shares