নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম, তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হন নি সিভিল সার্জন!



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠা ওএসডি হওয়া সিভিল সার্জন তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হন নি। অবশ্য তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দেওয়া ব্যক্তিও তদন্তের দু’দিনেও উপস্থিত হন নি। তবে অন্য একাধিক ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনেছেন। কসবার এক চাকরি প্রার্থী তদন্ত টিমকে জানিয়েছেন চাকরি না হওয়ায় তিনি টাকা ফেরত পেয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই সিভিল সার্জন ডা. নারায়ণ চন্দ্র দাশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে গত রবিবার থেকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পৈরতলার আবুল কালামের ছেলে আব্দুস সালাম নামে এক ব্যক্তি মন্ত্রনালয়ে যে অভিযোগ দেন এর প্রেক্ষিতে তদন্ত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডেন্টাল) ডা. মো. নজরুল ইসলাম ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির খান রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসেন।
তদন্ত টিমের প্রধান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডেন্টাল) ডা. মো. নজরুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় জানান, দু’দিনের তদন্ত শেষে আমরা ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ করা ব্যক্তি ও অভিযুক্ত ডা. নারায়ণ চন্দ্র দাশ সোমবারও উপস্থিত হন নি। কসবার এক চাকুরি প্রার্থী আমাদেরকে জানিয়েছেন তিনি চাকুরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ লিখিত, ১৬ মে মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২৬ জুলাই বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৭২ জনের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়। এর পর নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কসবা ও নবীনগর থানায় তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. নারায়ণ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। গত ৩ আগস্ট নারায়ণ চন্দ্র দাসকে ওএসডি করা হয়।