র্যাবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নেওয়ার আদেশ দেওয়া বিচারক প্রত্যাহার
মনিরুজ্জামান পলাশ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জৈষ্ঠ বিচার বিভাগীয় হাকিম (সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) নাজমুন নাহারকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট মোশতাক আহম্মেদ সাহদানী এক আদেশে তাঁকে প্রত্যাহার করে নেন। র্যাবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর তিনি প্রত্যাহার হলেন।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত একটি পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, অত্র জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব নাজমুন নাহারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমলী আদালত থেকে প্রত্যাহার করা হইল। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হইল। আগামী ৮ জুন থেকে অত্র আদেশ কার্যকর হইবে’।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. সারোয়ার আলম এ আদেশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারকে প্রত্যাহার করার একটি আদেশ দিয়েছেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট’।
এ প্রসঙ্গে ‘হত্যাকান্ডের’ শিকার শাহনূরের প্রধান আইনজীবী মো. খায়রুল আলম সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আমি মনে করি র্যাবের বিরুদ্ধে আদেশ দেওয়ার কারণেই ওই বিচারকের আমলী ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ আদেশের একটি কপি আমার আছে’।
গত রবিবার র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর এ কে এম সাকিব সিদ্দিকিসহ নয় সদস্যের বিরুদ্ধে ওই আদালতে হত্যার অভিযোগ আনেন নবীনগর উপজেলার বগডহর গ্রামের শাহনূর আলমের ভাই মো. মেহেদী হাসান। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেটের আদালত এক আদেশে শাহনূরকে হত্যা করা হয়েছে- এ অভিযোগ মামলা হিসেবে রজু করে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নবীনগর থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে, আদালতের আদেশের প্রায় ২৫ ঘন্টা পরও র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার আদেশ বৃহস্পতিবার রাত দশটা পর্যন্ত পৌঁছেনি নবীনগর থানায়। বাদী পক্ষের প্রধান আইনজীবী খায়রুল আনাম বলেছেন, আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় মামলার কপি থানায় পাঠিয়েছি। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপক কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান, তিনি এখনও আদালতের আদেশ পাননি।