স্ত্রী ও মাদক আসক্ত প্রেমিকের অত্যাচারের শিকার হতভাগা স্বামী
সুমন নূর : স্ত্রী পরকীয়ায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে স্বামী ও তার শ্বশুর। চরিত্রহীন স্ত্রী ও প্রেমিকের দলবল দ্বারা আক্রান্তের শিকার হয়ে জাকির হোসেন ও তার বাবা আব্দুর ছাত্তার এবং তার মা জোৎসা বেগম বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
গুরুতর আহত আব্দুর ছাত্তারকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, জাকির হোসেনের স্ত্রী লাকি আক্তার দীর্ঘদিন যাবৎ ভাদুঘর এলাকার কাজল মিয়া ( সোর্স কাজল) এর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত । আহত জাকির হোসেন একজন বাস শ্রমিক , সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া – চট্টগ্রাম রুটের নাইট কোচের শ্রমিক। এজন্য তাকে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। তার স্ত্রীর এই কর্মকান্ডের ব্যাপারে কোন ধারণা ছিল না বিধায় তাদের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট রূপ ধারণ করে। দুশ্চরিত্রা স্ত্রী ও প্রেমিক পরিকল্পনা মাফিক জাকির হোসনকে হত্যা করার প্রয়াস চালায়। গত ১৫ মে রাত আনুমানিক ২ টার সময় তার স্ত্রী নিজ পিত্রালয় থেকে আহত জাকির হোসনকে ফোন করে বলে, তাদের একমাত্র ছেলে মশার জন্য ঘুমাতে পারছে না, কয়েল আনতে বলে ফোন কেটে দেয়। তার শ্বশুর বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় সে কয়েল নিয়ে যায় তার শ্বশুর বাড়ি। পূর্বপরিকল্পনা মত সে যখন ঘরে প্রবেশ করে তখনই কাজল তার গং নিয়ে জাকির হোসনকে মুখে মোটা স্কচ টেপ দিয়ে মুড়িয়ে তাকে হাত-পা বেধে তাকে প্রাণে হত্যার জন্য নিয়ে যায় ভাদুঘর-উলচাপাড়ার কুরুলিয়া খালের পার্শ্ববর্ত্তি ধান ক্ষেতে। তখন কাজল তার পরিচিত লোক রুবেলকে ফোন করে ঐ স্থানে আসার জন্য। সে এসে জাকিরকে চিনতে পেরে বলে তার দ্বারা এ কাজ হবে না এবং সে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। অতঃপর কাজলের গং সারারাত নেশাপান করে তাকে মারধর করে ভোর বেলায় তাকে ছেড়ে দেয়। সে বাড়িতে আসলে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে তার পরিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানায় গত ১৭ মে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়, নং- ৮২৯। ঘটনার তদন্তের ভার পড়ে এ.এস.আই বসির আহমেদ এর উপর। উল্লেখ্য, আসামী কাজল এ.এস.আই বশিরের সোর্স, তাই পুলিশএ ব্যাপারে কোন হস্তক্ষেপ গ্রহণ করেননি। উল্টো ৩০ মে মামলার বশির বাদীনিকে হুমকী দেয় অভিযোগ প্রত্যাহার করতে।
এ দিকে বশির হুমকী দিয়ে বের হবার ঘন্টা খানেক পর কাজল তার গং মনির মিয়া (কেটো মনির), বসু, ছগির মিয়া, ছবুর মিয়া, জাকির, আনোয়ার হোসেন আনার – তার বাড়িতে এসে হুমকী দেয় অভিযোগ দু’দিনের মধ্যে না তোললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে এ কথা বলে চলে যায়।
এরপর ২ জুন সোমবার ভোর ৫ টা ৩০ সময়ে জাকিরকে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে দেশিয় অস্ত্র দ্বারা তার গলায় ছুরি মারার চেষ্টা করলে তার বাবা বাধা দেয়, বাধা দেয়ায় তার বাবাকে লোহার রড দিয়ে ডান পায়ে আঘাত করে পা ভেঙ্গে ফেলে এবং তার মাকে শ্লীলতাহানি করার উদ্দেশ্যে তাকে বিবস্ত্র করে এবং ঘরের যন্ত্রপাতি আনুমানিক ১,০০,০০০/= টাকার ক্ষতিস্ধন করে।
এ খবর তৈরী করার আগ পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, আগামী কাজল (সোর্স কাজল) এর বিরুদ্ধে ২৫ মে পুলিশ সুপার বরাবর দাতিয়ারা নিবাসী আব্দুল বারেক একটি অভিযোগ দায়ের করে। কাজল ও মনিরের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।