র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা, সর্বত্র তোলপাড়



মনিরুজ্জামান পলাশ ॥ তোলপাড় চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সর্বত্র আলোচনা। শাহিনুর হত্যাকান্ড নিয়ে। রবিবার শাহিনুর হত্যাকান্ডের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট’র আদালতে হত্যা মামলার অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ভাই মেহেদী হাসান। এতে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর এজেড এম সাকিব সিদ্দিক ও ৮ র্যাব সদস্যসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি অধিকতর শুনানীর দিন ধার্য্য করে। এদিকে মামলার আইনজীবি খায়রুল আনাম বলেন, অবশ্যই এ ঘটনার বিচার হতে হবে। বিজ্ঞ আদালতের আদেশের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান পিপিএম সেবা (বার) জানিয়েছেন, বিজ্ঞ আদালত আদেশ দেয়ার পরই সবকিছু জানা যাবে। আদালত মনে করলে আমাদেরকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দিলে যথাযথ ভাবে তদন্ত হবে। এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনাটি র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও আদালতের আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে। অন্য একটি সূত্র জানায়, শাহিনুর হত্যা নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করার পর র্যাবের কয়েকজন সদস্যকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। যদিও এ ঘটনাটি সত্যাতা নিশ্চিত করা যায়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা কারাগারের সুপার মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, শাহিনূরকে জেল হাজতে গ্রহন করার সময় তার শরীরে বেশ ‘আউট ইনজুরি’ ছিল। এক পর্যায়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ৪ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠাই। পরে সেখানে তার অবস্থার আরও খারাপ হলে, ওইদিনই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে প্রেরণ করা হয়। সেখানেই ৬ মে রাতে তিনি মারা যান। জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও আইন শৃংখলা কমিটির প্রভাবশালী সদস্য আল মামুন সরকার জানান, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘটনাটির বিস্তারিত জানা নেই।
এর আগে শাহিনুর হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করে নিহতের স্বজনরা। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার ও প্রকাশ হয়।