সানলাইফ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড হস্পিটালে ডাঃ ফৌজিয়া জাফরিনের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের কর্মরত গাইনী ডাঃ ফৌজিয়া জাফরিনের ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গত ৪এপ্রিল জেলার নবীনগর উপজেলার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তারের প্রসব ব্যাথা উঠলে শহরের রামকানাই হাই একাডেমী স্কুল সংলগ্ন সানলাইফ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড হস্পিটালে ভর্তি করে। পরে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার পর জরুরী ভিত্তিত্বে গর্ভবতী মহিলার সিজার করেন গাইনী ডাঃ ফৌজিয়া জাফরিন। এ সময় একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। ৪দিন পর তাকে রিলিজ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই জিয়াসমিন আক্তারের ব্যথা শুরু হয়। ধীরে ধীরে তার ব্যাথা বাড়তে থাকে। পরে তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম ডাঃ ফৌজিয়া জাফরিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি সানলাইফ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড হস্পিটালে নিয়ে আসার কথা বলেন। পরে তিনি ওই সেন্টারে নিয়ে আসলে ডাঃ ফৌজিয়া জাফরিন আবারও পরীক্ষা নিরিক্ষা করে এবং রিপোর্ট দেখে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে জিয়াসমিন আক্তারের গর্ভধারনের নারী অপারেশন করা হয়। অপারেশন করার পর চিকিৎসক জানান, তার জ্বরায়ুর নার পচেঁ যাওয়ায় অপারেশন করতে হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এ ধরণের রোগী বাঁচার সম্ভবনা খুবই কম। এ বিষয়ে ডাঃ ফৌজিয়া জাফরিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি রিসিভ করে বলেন, ৫ মিনিট পর ফোন করার জন্য। পরে একাদিক ফোন দেওয়ার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বুধবার দুপুরে জিয়াসমিন আক্তারের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর ডাঃ ফৌজিয়া জাফরিনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেন নি। পরে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তাছাড়া সরোজমিনে সানলাইফ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড হস্পিটালে মালিকপক্ষের লোকজনদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোন জবাব দেননি। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ডাঃ ফুজিয়া জাফরিনের লোকজন চেষ্টা করছে বলে একাদিক সূত্রে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।