বর্তমান সরকার নারীদের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে –ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি এমপি
প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি এমপি বলেছেন, আবহমান বাংলার চিরায়ত উৎসব বৈশাখী উৎসব। একে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাঙালী নারীর অগ্রগতিতে কবি সুফিয়া কামাল অগ্রনী ভূমিকা পালন করে গেছেন। সেই অগ্রগতির যাত্রা অব্যাহত রেখে নারীরা আজ এগিয়ে চলেছে। আজ নারীরা কোন ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই। বর্তমান সরকার নারীদের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। সরকার ২০১১ সালে নারী নীতিমালা গঠনের মাধ্যমে নারীদের উন্নয়নের চাবি কাঠি তৈরি করে দেন। তিনি বর্তমান সরকারের শাসনামলের সময়কে নারী উন্নয়নের স্বর্ণযুগ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এক সময় নারীরা নানা ভাবে নির্যাতিত হত। এখন আর নারী আন্দোলনকে কোন অসৎ শক্তি আটকিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশের নারীরা আজ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। বাংলার নারীরা আজ জেগে উঠেছে। তিনি গত ২৮ বছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করায় সাহিত্য একাডেমিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাহিত্য একাডেমি যে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে তা দেশ ব্যাপী সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। আমি সাহিত্য একাডেমির একজন সদস্য হিসেবে নিজেকে ধন্যমনে করি।
তিনি গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষাচত্ত্বরে সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী উৎসবের ৪র্থ দিনে কবি সুফিয়া কামাল ও নারীমুক্তি আন্দোলন দিবস শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সাহিত্য একাডেমির পরিচালক নন্দিতা গুহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা নিশাত। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি মিলি চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক স্বাতী চৌধুরী, নারীনেত্রী রিফাত পারভীন, নারীনেত্রী নেলী আক্তার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সহসভাপতি ও নতুন মাত্রার সম্পাদক আল আমীন শাহীন প্রমূখ। দিবস পরিচিতি পর্বে কবি সুফিয়া কামাল এর সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠকরেন জহিরুল ইসলাম স্বপন। কবি জয়দুল হোসেন রচিত কবিতা আবৃত্তি করেন নির্জয় হাসান সোহেল। এর আগে সূচনা পর্বে আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ও তিতাস ললিতকলা একাডেমি। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন উষা নৃত্যালয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মেলা চলবে আগামী ৭ বৈশাখ পর্যন্ত।