ফেইস বুকে উক্তি :মাদ্রাসার ছাত্রদের বিক্ষোভ, আল্টিমেটাম -এলাকায় উত্তেজনা
শামীম উন বাছির :::চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। একের পর এক বিক্ষোভ হয়েছে। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে ফেইস বুকে উক্তি এই উত্তেজনার কারণ। বিক্ষোভ ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সম্প্রতি ফেইস বুকে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে একটি উক্তির পর ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চর ইসলামপুর গ্রামের এক যুবক ফেইস বুকে মন্তব্য করায় তার ভগ্নিপতিকে গ্রাম্য সর্দার-মাতব্বররা এক সালিশে ডাকে। তাকে জুতা পেটা ও গলায় জুতার মালা পরিয়ে কানে ধরে উঠ-বস করা হয়। তাবলীগ জামাতের সদস্য হওয়ায় উদ্দেশ্যেমূলক ভাবে তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে গ্রামবাসী জানায়। এখবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামেয়া ইউনুছিয়ায় আসার পর উত্তেজনা দেখা দেয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডঃ তানভীর ভূইয়ার কাছে ঘটনাটির ব্যাপারে নালিশ করা হয়। কিন্তু তিনি ঘটনাটি এড়িযে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার কয়েক হাজার মাদ্রাসার ছাত্র শহরে প্রচন্ড বিক্ষোভ করে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শহরেও সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার বিজয়নগরে পৃথক পৃথক সমাবেশ ডাকা হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মোতায়েন করা বিপুল সংখ্যক পুলিশ। আজ বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ১৫/২০ ট্রাক মাদ্রাসার ছাত্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে বিজয়নগরে জড়ো হয়। সেখানে আমতলী বাজার মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি মিজাপুর চৌরাস্তা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে মাওলানা শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাওলানা শাহজাহান, মাওলানা কবীর হোসেন, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সন্ধ্যার মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না হলে থানা ঘেরাওসহ বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে জানানো হয়। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শহরে প্রচন্ড উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় স্থানীয় মাওলানাদের সাথে পুলিশের বৈঠক ডাকা হয়। এসময় কয়েক শতাধিক মাদ্রাসার ছাত্র থানা গেইট এলাকায় অবস্থান নেয় এবং বিক্ষাভ করতে থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামেয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার একজন শিক্ষক জানান, ফেইস বুকে যে মন্তব্যে করা হয়েছে তা সঠিক ছিল। কিন্তু তাবলীগ জামাতের লোক হওয়ায় বৃদ্ধাকে কান ধরে উঠবস ও জুতারমালা পড়ানো হয়। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, সৃষ্ট পরিস্থিতি সুরাহার জন্য সকল প্রচেষ্টা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।