ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যপাড়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে তান্ডব ও ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা
প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাসায় তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা ওই বাসার ছয়টি কক্ষে থাকা সব আসবাবপত্র সম্পূর্ণভাবে গুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া মারধর করে ওই বাড়ির দুই গৃহবধুকে মারাত্মক আহত করেছে তারা।
আজ বুধবার দুপুরে মধ্যপাড়াস্থ বসাকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা এসময় স্টীলের আলমিরা, সুকেজ ও ওয়্যার ড্রোবের তালা ভেঙ্গে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়েছে। এমনকি বাড়ির টিনের চালাও খুলে নিয়েছে তারা।
জানা যায়, গত সোমবার সকালে শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকার বাসিন্দা পৌরসভার ঠিকাদার মনির হোসেন মধ্যপাড়াস্থ বসাকপাড়া এলাকার রাস্তা নির্মাণের জন্য ট্রাকে করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাজার চলাকালীন সময়ে ট্রাক না ঢুকাতে ঠিকাদার মনিরকে অনুরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দা বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইদন মিয়ার বড় ছেলে বাদল মিয়া। এসময় ঠিকাদার মনিরের সাথে বাদলের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গত দুদিন ধরে মনিরের পক্ষে পৈরতলা এলাকার সন্ত্রাসীরা বসাকপাড়াস্থ বাদলের বাসার আশপাশে অস্ত্রের মহড়া দেয়। কিন্তু বাদল ভয়ে পালিয়ে থাকার কারণে তারা আজ বুধবার ওই বাড়িতে হামলা করে এমন তান্ডব চালায়। তাদের তান্ডব থেকে ওই বাসার নারী সদস্যরাও রেহাই পায়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান ইদন মিয়ার চাচা শামসুল আলম জানান, ওই বাসার ছয়টি কক্ষে প্রায় এক ঘন্টা তান্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা ছয়/সাতটি দরজা জানালা, তিনটি টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল, আলনা, কম্পিউটার ও টেলিভিশন ভাংচুর করে। এছাড়া তারা দুটি স্টীল আলমিরা, দুটি কাঠের ওয়্যার ড্রোব ও দুটি স্যুকেসের তালা ভেঙ্গে নগদ লাধিক টাকাসহ পাঁচভরি স্বর্ণ লুট করে। সন্ত্রাসীরা ওই বাড়ির একটি করে টিনের চালাও খুলে নেয়।
শামসুল আলম আরও জানান, সন্ত্রাসীরা বাদলের অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী সাথী আক্তার (৩০) ও তার মা জায়েদা খাতুন (৫৫) কেও মারধর করে। তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে ঠিকাদার মনির হোসেনের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রব জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।