Main Menu

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান গোলাম রব্বানী

+100%-

স্টাফ রিপোর্টার: গত ১৩ জানুয়ারি বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. গোলাম রব্বানীকে স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসাবে নিয়োগের আদেশটি প্রকাশ করেছে।আর এতেই  খরা কাটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সচিব না থাকার ব্যাপারটির। সর্বশেষ, সচিব ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজানুর রহমান ।গত ২০১২ সালের ০৪ সেপ্টেম্বর উনি অবসরে যান।

গোলাম রব্বানী রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণকরেন।  তার পিতা মরহুম মো. মুকসুদ আলী ভূঁইয়া এবং মা মেহেরুন্নেসা বেগম।

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ১৯৮৩ সালের ১৯ জুন যোগদান করেন। চাকুরী জীবনের এই সময় পর্যন্ত তিনি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।তিনি কুমিল্লা ও গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান ও সর্বশেষ পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন।  মো. গোলাম রব্বানি দেশের পক্ষে বিভিন্ন দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি, সমঝোতা স্মারক এবং কনফারেন্সে অংশ গ্রহন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, ইটালী, জার্মানী, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, রাশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক, মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন ।

এদিকে গোলাম রব্বানীর সচিব হওয়া নিয়ে প্রশাসনে তোলপাড়ের ঘটনা :

স্থানীয় সরকার সচিব আবু আলম মো. শহীদ খানের চাকরির বয়স শেষ এবং তাকে পিআরএল’র জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার আদেশও হয়েছে ইতিমধ্যে। যদিও তিনি গত কয়েকদিন যাবৎ চেষ্টা করছিলেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার জন্য। অবশেষে সোমবার পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. গোলাম রব্বানীকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব করার সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। কিন্তু, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি না করায় অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন করা ফাইল ধামাচাপা দিয়ে রাখায় গোলাম রব্বানী নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেননি। যদিও একই দিনে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত অন্য চার জন সচিব রদবদলের আদেশ জারি করা হয়েছে। তারা নতুন কর্মস্থলে যোগদানও করেছেন। অথচ যতোটা জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব পদে গোলাম রব্বানীকে নিয়োগের সার-সংক্ষেপ অনুমোদন করেছেন অন্য চার জন সচিব রদবদলের আগে।
সূত্র জানায়, আবু আলম মো. শহীদ খানের অতীত কর্মকাণ্ডে সরকার অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের একক সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি সরকারকে চরম বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিলেন। এ সিদ্ধান্তের আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেননি। মন্ত্রীর কাছে ফাইল না পাঠিয়ে নিজেই ফাইলে অনুমোদন দিয়ে নির্বাচন কমিশনে সিটি কর্পোরশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে চিঠি পাঠান। যা নিয়ে পরে প্রধানমন্ত্রীও তার ওপর ক্ষুব্ধ হন। এছাড়া আবু আলমের নানা রকমের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সরকারের শীর্ষ মহলের কাছে। সবমিলিয়ে সরকার তাকে চাকরিতে আর না রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়।
জানা গেছে, আবু আলম এটা আগে থেকে বুঝতে পেরেই সরকারি চাকরির বয়স বাড়ানোর তৎপরতায় নেমেছিলেন। কিন্তু, বর্তমান সরকারের আমলে ইতিমধ্যে সরকারি চাকরির বয়স একাধিকবার বৃদ্ধির কারণে নতুন নিয়োগ বা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে গত কয়েক বছরে দেশে বেকারত্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এসব বিবেচনা করেই সরকারের নীতিনির্ধারকরা এখন আর নতুন করে চাকরির বয়স বাড়ানোর পক্ষে নন। চাকরির বয়স বাড়ছে না দেখে আবু আলম নেমেছিলেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের তদবিরে। এরমধ্যেই তিনি একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত ফাইল পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফাইল ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ গত সোমবার তার জায়গায় (স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব পদে) গোলাম রব্বানীকে নিয়োগের ফাইলে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেন। এর আগে আবু আলমের পিআরএল’র আদেশও জারি হয়।
কিন্তু, আবু আলম প্রভাব খাটিয়ে জনপ্রশাসন সচিবকে দিয়ে এই পদে গোলাম রব্বানীর নিয়োগের ফাইলটি স্থগিত রাখেন, যা প্রধানমন্ত্রীও জানেন না। নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরের পর সেই সার-সংক্ষেপ স্থগিত রাখার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও জনপ্রশাসন সচিব আবদুস সোবহান সিকদার এটি স্থগিত রেখেছেন। তার ড্রয়ারেই আটকে রেখেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, আবু আলম মো. শহীদ খান অফিসার্স ক্লাবে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতিপূর্বে তিনি এ পদে সহজে জয়ী হলেও এবার চরম প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখে পড়েছেন। আবু আলমের ঘনিষ্ঠরা জানান, তিনি আশংকা করছেন, ‘চুক্তিভিত্তিক পাননি, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব পদ থেকে আউট হয়ে গেছেন’- এমন খবর প্রকাশ হয়ে পড়লে আগামী ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে চরম ভরাডুবি ঘটবে তার। তাই প্রভাব খাটিয়ে জনপ্রশাসন সচিবকে দিয়ে গোলাম রব্বানীর নিয়োগ আদেশ ঠেকিয়ে রেখেছিলেন।

কুমিল্লা ও গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন। – See more at: http://titas24.com/%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%a1%e0%a6%bf-%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a3%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%9a/#sthash.nDznitya.dpuf





Shares