চাঁদার দাবিতে সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা, সন্ত্রাসীর বাবা আটক



শামীম উন বাছির: ‘সংখ্যালঘু নয়, ওরা স্বাধীন এ দেশেরই মানুষ, বাংলাদেশি। মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের সমান অংশগ্রহণ ছিল। তাই এ দেশে সবারই অধিকার সমান। সুতরাং সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ কর, হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও, হামলার শিকার মানুষকে পুনর্বাসন কর ও নিরাপত্তা দাও, দিতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান নিয়ে মৌন মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। শনিবার এ কর্মসূচি পালিত হয়। এর মধ্যেই ঘটে সংখ্যালঘুর উপর আক্রমন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় সংখ্যালঘু পরিবারের তিনজন আহত হন। অভিযোগ উঠেছে, চাঁদার টাকা না পেয়ে গতকাল সকালে পৌর এলাকার পাইকপাড়ার দাসপাড়া মহল্লায় এ হামলা চালানো হয়। পুলিশ এ ঘটনায় এক সন্ত্রাসীর বাবাকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, দাসপাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, সদর থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি মহসিন মিয়া (২৬) ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার চাঁদা নেয় পাইকপাড়ার দাসপাড়া মহল্লায় রাম গোপাল চক্রবর্তীর কাছ থেকে। গতকাল সকালে মহসিন ফের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় মহসিন ও তার সহযোগীরা রাম গোপাল চক্রবর্তী এবং তার পরিবারের ওপর হামলা করে। এতে রাম গোপাল চক্রবর্তী, তার স্ত্রী শিখা চক্রবর্তী এবং মেয়ে রিপা চক্রবর্তী আহত হন। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে চাঁদা না দিলে রাতে আগুন দিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।হামলায় আহত রিপা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কখন কি হয় এনিয়ে চরম দুঃচিন্তায় আছি।’।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কামাল পাশা বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মহসিনের বাবাকে আটক করা হয়েছে।