নির্বাচন কমিশনে জাপা প্রার্থী রেজাউল ইসলামের অভিযোগ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক প্রত্যাহার
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ এ সিদ্ধান্তের বিষয়টিকে নিশ্চিত করেন। প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের জাপা প্রার্থী রেজাউল ইসলাম নির্বাচন কমিশনে অভিযোগে করেন, গত ২ ডিসেম্বর তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। বাছাইয়ের শেষ দিন ৬ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসার তাঁকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে রিটার্নিং অফিসার জেলার ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৯ জনের তালিকা কমিশনে পাঠিয়ে দেন। রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত ওই ৯ জনের তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের আওয়ামী লীগের ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীর নামও রয়েছে। কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিনে ডিসি রেজাউল ইসলামকে প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে মোক্তাদির চৌধুরীকে প্রতীক বরাদ্দ দেন। তিনি রেজাউল ইসলামকে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার দেখিয়ে কমিশনে আবার নতুন তালিকা পাঠান। অথচ আরপিও অনুযায়ী একজন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে তাঁকে দ্বিতীয়বার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার কোনো সুযোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে রেজাউল ইসলাম গত ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে ইসি নিশ্চিত হয় যে ডিসি নুর মোহাম্মদ মজুমদার রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে কমিশন গত সোমবার তাঁর কাছে নোটিশ পাঠায়।এদিকে ইসি সূত্র জানায়, রেজাউল ইসলাম ভূইয়াও মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছিল বলে ইসির কাছে প্রমাণ আছে। অন্যদিকে উবায়দুর মোক্তাদির চৌধুরী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও পরে তাকে বৈধ তালিকায়ও পুন:স্থাপন করে জেলা প্রশাসক। সব মিলিয়ে বিষয়টি জটিল করে ফেলেন নুর মোহাম্মদ।