মুক্তাদির চৌধুরীকে আ.লীগের মনোনয়ন না দেওয়ায় রেলপথ অবরোধ করেছে স্হানীয় আওয়ামী লীগ
সুমন নূর : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩) আসন থেকে বর্তমান সাংসদ ও পানি স¤পদ মন্ত্রণালয় স¤পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মুক্তাদিরকে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ায় বৃহ¯পতিবার সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছে সদরের আওয়ীলীগের নেতা কর্মীরা। অবরোধের মুখে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ষ্টেশনে আটকা পড়ে।
গতকাল ও আজকে গন মাধ্যমে জাতীয় পার্টির সাথে সমঝোতার অংশ হিসাবে আওয়ামী লীগ ৬১ আসন জাতীয় পার্টির অনুকূলে ছেড়ে দেবার খবর প্রকাশ পায়। এ খবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে এসে পৌছলে ক্ষোভে রাস্তায় বের হয়ে আসতে থাকে নেতা কর্মীরা। সকাল থেকেই বিভিন্ন অঞ্চল/ এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে রাস্তা ঘাটে অবরোধের সৃষ্টি করে। ক্ষুব্দ কর্মীরা কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের টিএরোড, কাউতলী, পৈরতলা,মধ্যপাড়া, ফুলবাড়িয়া, ঘাটুরায়ও অবরোধ করেছে তার সমর্থকরা। এর ফলে ওইসব রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। ষ্টেশন রোডস্হ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ভাংচুর করে। নেতাকর্মীরা এসময় বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। তারা কোনভাবেই এ আসন থেকে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসাবে মেনে নিবে না বলে ঘোষনা দেয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গত ৩/৪ দিন পূর্বে গন ভবনে জাতীয় পার্টির সাথে আসন বন্টনের বৈঠক হয়। বিরোধী দলের অংশগ্রহণের অনিশ্চয়তা থাকলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও সমমনা দলগুলো।শরিক দলগুলোর জন্য ৭৩টি আসন ফাঁকা রেখেই বুধবার আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত ২২৭টি আসনের মনোনিত প্রার্থীদের হাতে শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত প্রতীক বরাদ্দের চূড়ান্তপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। জাতীয় পার্টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এবং সরাইল -আশুগঞ্জ আসনটি নেবার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এরশাদকে নির্বাচনে রাখার জন্য শেখ হাসিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এ দুইটি আসন দু’টি সহ ৬১টি আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়। র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী প্রথমে রাজী না হলেও বৃহত্তর স্বার্থে এবং দেশকে সাংবিধানিক পথে পরিচালিত করার জন্য ব্যাপারটি দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ মোঃ আনার জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজধানী হিসাবে পরিচিতি সদর আসনটি আমরা কোন ভাবেই হারাতে রাজী নই। এ আসনটি প্রেষ্টিজের ব্যাপার। গত সাড়ে তিন বৎসরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরের যে উন্নয়ন রবিউল মোকতাদির করেছেন, তা স্বাধীনতার পরে কেউ করতে পারেনি। এ আসনে আমরা দলীয় প্রার্থী ছাড়া অন্য কাউকে চিন্তাও করতে পারি না। আমরা আশা করি আমাদের দলের নীতি নির্ধারকরা এ বিষয়টি বিবেচনায় আনবেন। রেজাউল করিম ভূইয়া এ এলাকায় পূর্বেও নির্বাচন করলে উনার তেমন একটা পরিচিতি নেই। গত নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী মোকতাদির চৌধুরীর সমর্থনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।