প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা মেহারী ইউপি সিমরাইল গ্রামে আওয়ামী লীগের পোষ্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও নেতাকর্মীদের কর্তৃক হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর পুড়িয়ে ভাংচুরসহ ১০জনকে আহত করেছে। এই নিয়ে দুই পক্ষই কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনায় প্রকাশ, মেহারী ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীমে সাধারণ সম্পাদক ও সিমরাইল গ্রামের ডাক্তার মো.হোসেন মিয়া তার লোকজন নিয়ে ১০ম জাতীয় সংসদ নিবাচনের কসবা-আখাউড়ার দলীয় মনোনিত প্রার্থী এড.আনিসুল হকের পোষ্টার লাগানোর জের ধরে একই গ্রামের বিএনপির প্রভাব শালী নেতা বাক্কী মেম্বার সহ ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মী পরিকল্পিত ভাবে গত শনিবার বিকালে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুরসহ একটি ঘর দূর্বৃওরা পুড়িয়ে দেয়। হামলায় আহত ১০জনের মধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় ছাদেক(৩০), আলমগীর (২৮) ও মুখলেছ মিয়া(৫০)কে কসবা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিমরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর পরীক্ষার্থী সাকিব মো. ইউনুছ হামলাকারীদের কবল থেকেও রেহাই পায়নি। আহত বাকিদেরকে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মো. হোসেন মিয়া বাদী হয়ে বাক্কী মেম্বারসহ ২৬ জনকে আসামী করে আবার হারুন মিযা বাদী হয়ে ১০জনকে আসামী করে কসবা থানায় ঊভয় পক্ষ দুইটি মামলা দায়ের করেছে বলে রোববার সকালে কসবা থানা পুলিশ জানায়। বিএনপির প্রভাবশালী নেতা বাক্কী মেম্বারের লোকজন জানান পূর্ব শক্রুতার জের ধরে উভয় পক্ষের মাঝে সংর্ঘষ হয়। গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আলম জানান এই হামলাটি খুবই দুঃখ জনক।দল করার অধিকার সকলেরই আছে কিন্ত এই ভাবে বাড়ি ঘর পুড়িয়ে,ভাংচুর,মালামাল লুটপাটসহ মানুষ আহত করার অধিকার দল দেয়নি বলে জানান। বর্তমানে সিমরাল গ্রামে থম থম ভাব বিরাজ করছে যে কোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে।ডাক্তার হোসেন আরো জানান তার ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ লাখ টাকা। এই হামলার প্রতিবাদে গ্রামবাসী বিচার দাবীতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে।
|