Main Menu

পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক নয় যেন এক মরণ ফাদে পরিণত হয়েছে

+100%-

শামীম উন বাছির: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষের।  সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানালেও সংশিষ্ট কর্তৃপ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বর্তমানে সিএনজি অটো রিক্সা কিংবা রিকশা দিয়ে চলাচলের চেয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল অনেক বেশি নিরাপদ মনে করছে সাধারণ মানুষ। তারপরও এলাকাবাসী নিরূপায় হয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করছে।   
ফলে বাড়ছে দূর্ঘটনা ও জনভোগান্তি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দারিয়াপুর রেললাইনের পশ্চিম পাশ থেকে, কালিসিমা, পয়াগ, নরসিংসার বাজারের সড়কে যানবাহন চলাচলে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই সড়ক দিয়ে টেম্পো, অটোরিকশায় (সিএনজি), রিকশা চলাচল করতে গিয়ে প্রায় উল্টে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যাত্রীদের হতাহতের ঘটনা ঘটলেও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেখে না দেখার ভান করছে। সিএনজি অটো রিক্সা চালকরা জানান, এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে আতংকে থাকি। কখন নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়।

ভূক্তভোগী এলাকাবাসী জানায়, সাদেকপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামের মানুষসহ ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা দারিয়াপুর ও বড়াইল সড়ক। এলজিইডি বিভাগের আওতাধীন সড়কের জরার্জীণ অবস্থা। দীর্ঘদিনেও মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি। বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শালগাউ, কালিসিমা, পয়াগ, গাছতলা, নরসিংসার, বড়হরন ও ছোটহরন গ্রামের রাস্তা। অথচ এ পরিস্থিতিতে দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে।

সড়কের অধিকাংশ জায়গার কার্পেটিং ও কংক্রিট উঠে গিয়ে এবং ভেঙে সড়কে ছোট-বড় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোন কোন জায়গায় বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এ পরিস্থিতিতে দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য ভুক্তভোগীরা সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এলজিইডি’র সুত্রে জানা যায়, আগামী ডিসেম্বর মাসের ২৮ তারিখ নাগাদ রাস্তা মেরামতের টেন্ডার দেওয়া হবে।






Shares