প্রতিবেদক ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নিয়েছে গত বৎসর জূলাই মাসে। পরিচালক হয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এখানে আসেন দুই প্যানেলের ব্যবসায়ী বৃন্দ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার সমর্থনে তখন সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াছ খান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যবসায়ী সমাজ বহু আশাবাদী ছিল চেম্বারের বর্তমান নির্বাহী কমিটি নিয়ে, ইলিয়াছ খান তিন বার নির্বাচন করেও সভাপতি হতে পারেন নাই। প্রবীণ ব্যবসায়ী ফরিদ সাহেবের সময় থেকেই ইলিয়াছ খান চেম্বারের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উনার জীবনে একটি প্রচন্ড ইচ্ছা বা খায়েশ ছিল চেম্বারের সভাপতি হওয়া। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে উনি সভাপতির দায়িত্ব পান। সাধারণ ব্যবসায়ী মহল আশা করেছিল, ইলিয়াছ খানের মাধ্যমে তাদের অনেক সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল এর উল্টো চিত্র। পরিচালক বৃন্দ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ না দেখে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শুরু হয়ে যায় দলাদলি, এতে এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় অন্যতম সদস্য মাহফুজ আহমেদ। বিএনপি বলয়ের লোক হওয়ায় উনি সামনে নিয়ে আসেন ইলিয়াস প্যানেল থেকে নির্বাচিত তানজিন আহমেদকে । তবে সবকিছুর পেছন থেকে ওনাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছেন গত চেম্বারের অপর প্যানেলের নেতা আজিজ মিয়া। মূলত এদের চাপেই কোনধাসা হয়ে পড়েন ইলিয়াস খান। বাণিজ্য সংগঠনের গঠনতন্ত্র সর্ম্পকে ইলিয়াছ খান তেমন একটা ধারণা রাখেন না। উনার মনে সব সময় একটা ধারণা বদ্ধমূল ছিল যে, চেম্বারের সভাপতিই সর্বেসর্বা। উনাকে বাদ দেবার ক্ষমতা কারও নেই। যেমন ভাবে ক্ষমতায় ছিলেন ফরিদ সাহেব। ইলিয়াছ খানের এই অজ্ঞতার সুযোগে পুরো পুরি কাজে লাগান অপর গ্রুপটি। উনাদের উপরি হিসাবে আসে চেম্বারের কিছু কিছু ব্যাপারে স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। বর্তমান অর্থনৈতিক গ্লোবালইজাশনে সেভেন সিস্টার হিসাবে খ্যাত রাজ্যগুলার প্রবেশ পথ বর্তমানে আখাউড়া স্থল বন্দর খ্যাতি লাভ করেছে। মূলত এ খ্যাতি লাভের বা এই উন্নয়নের নেতৃত্বের ব্যাপারেই সৃষ্টি হয় চেম্বারের বিরোধ। ভৌগলিক কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা ভারতের পূর্বাঞ্চলের বিশেষ করে ত্রিপুরার ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পৃক্ত। এই বন্দর দিয়ে মাছ, প্রাষ্টিক দ্রব্য, ইট পাথর রপ্তানী হয়। ভৌগলিক কারনে এ এলাকার গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীবৃন্দ দাবী তুলতে থাকে মাল্টিপল ভিসার ব্যাপারে। কয়েক মাস পূর্বে ভারতীয় দূতাবাসের দ্বিতীয় হাইকমিশনার এখানে আসলে চেম্বার নেতৃবৃন্দ উনার কাছে ভিসা ব্যবস্থা সহজ করনের দাবী উপস্থাপন করে। হাইকমিশনার মহোদয় এ ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের বহু পূর্ব থেকেই ভিসা সংক্রান্ত কোন চিঠির জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রশিদের মাধ্যমে একটা টাকা আদায় করছে। ভিসা সহজীকরনের সুযোগ নিয়ে ইলিয়াছ খান চেম্বারের প্যাডে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভিসা দেবার সুপারিশ করতে থাকেন। এতে দেখা যায়, অনেক অব্যবসায়ী ও ইলিয়াছ খানের আত্বীয়রা ভিসার সুপারিশ পত্র পেতে থাকেন। এদিকে এ ধরনের একজন মাল্টিপল ভিসাধারী (যিনি ইলিয়াসখানের সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে ভিসা পেয়েছিলেন) সীমান্তে মাদক সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। এতে ক্ষুন্ন হয় চেম্বারের ভাবমূর্তি। পাশাপাশি সভাপতি ইলিয়াছ খান চেম্বারের বাকী পরিচালকদের কথা ব্যতীত ব্যবসায়ীদের ও অব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিতে থাকেন বলে চেম্বারের অন্য পরিচালকরা অভিযোগ করে। টাকার অংক ৫,০০ (পাচঁ হাজার) থেকে ১০,০০০(দশ হাজার) টাকা পর্যন্ত উঠে । পাশাপাশি ইলিয়াছ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী বৈঠকে নিজে উপস্থি হতে থাকেন। এ বিষয়ে চেম্বারের অন্য কোন নির্বাহী সদস্যের সাথে কথা বলার প্রয়োজন মনে করেন না। সর্বশেষ এর উদাহরণ দেখা যায় গত রমজানের সময়। আইন শৃংঙ্খলা বিষয়ক জেলা প্রশাসকের দপ্তরে বৈঠকে চেম্বারের প্রতিনিধি করার জন্য নির্বাহী সদস্য আনজিল আহমেদকে দায়িত্ব দেয়া হয় নির্ধারীত সময়ে বৈঠকে গিয়ে দেখা যায় ইলিয়াছ খান প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এতে তানজিন এবং অন্যান্য সদস্যরা চরমভাবে অপমানিত বোধ করেন। এ বিষয়ে ইলিয়াছ খানকে জিজ্ঞেস করলে উনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারীকৃত একটি প্রজ্ঞাপনের রেফারেন্সের উল্লেখ্য করেন। একের পর এক এ ধরনের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ হতে থাকে অন্যান্য পরিচালক বৃন্দরা। এর পর বিষয়টি চেম্বারের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের গোচরে আসতে থাকে, উনারা সভাপতি সাহেবকে নিয়ে এক বৈঠকে বসেন। ওখানে সভাপতি মহোদয় সবার সামনে নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং উনাকে আরেকবার সুযোগ দেবার অনুরোধ করেন। চেম্বারের নির্বাহী সদস্যরা তখন একটি উপ কমিটি গঠন করেন এবং সত্যিকারের ব্যবসায়ীর যাচাই, বাছাই, ভিসার সুপারিশ পত্র দেয়ার দায়িত্ব এই কমিটির উপর অর্পণ করেন এবং এভাবেই এই ভিসা সমস্যাটির সাময়িকভাবে সমাধান হয়। গত আগস্ট মাসে চেম্বারের সহ- সভাপতির নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের একটি দল নিয়মমাফিক ভিসার জন্য চট্টগ্রাস্থ হাই কমিশন অফিসে যান। ওখানে গিয়ে ওনারা জানতে পারেন সভাপতি ইলিয়াছ খান চেম্বারের প্যাডে নিয়ম বর্হিভুত ভাবে অনেকের জন্য ভিসার সুপারিশ করেন যাতে দেখা যায় স্বারক নং বা মেমো নং নাই। এ ভাবে দুই চিঠিতে দুইজনের স্বাক্ষরে সুপারিশ পত্র থাকায় হাই কমিশনার মহোদয় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন এবং কাউকেই ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তাছাড়া ত্রিপুরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতির মাধ্যমে হাইকমিশনার জানতে পেরেছিলেন যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের ভিসার জন্য টাকা নেয়ার ব্যাপারটি। ভিসা না পেয়ে এবং এই ধরনের দূর্নীতির কথা জানতে পেরে চেম্বারের নির্বাহী সদস্যরা নিজেদের খুব অপমানিত বোধ করেন এবং নিজেরা বৈঠক করে সভাপতি মহোদয়ের প্রতি অনাস্থা আনার ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। ইতি মধ্যে, সে সব নির্বাহী সদস্য ইলিয়াছ খানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন তারাও আস্তে আস্তে সরে পড়তে শুরু করেন এবং ইলিয়াছ খানের উপর থেকে সর্মথন প্রত্যাহার করে নেন। এতে ইলিয়াছ খান হয়ে পড়েন নিসঙ্গ। এর মধ্যে অপর গ্রুপের অদৃশ্য নেতা আজিজুল হক গঠণতন্ত্রের ফাঁক খুজতে থাকেন। এ পর্যায়ে উনি খুজে পান একটি চিঠি যা ইস্যু করা হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৬ শাখা হতে ৩১/০৭/২০১৩ তারিখে জারিকৃত নোটিসে দেখা যায়, প্রতি দুই মাসে কমপক্ষে একটি কার্যনির্বাহী কমিটির সভা করতে হবে। দুই মাসে কোন সভা না হলে কার্যনির্বাহী কমিটির এক বা একাধিক সদস্য কর্তৃক সভাপতিকে সভা অনুষ্ঠানের জন্য লিখিত অনুরোধ করবে। এই অনুরোধ জানানোর ৭ দিনের মধ্যে সভাপতি মহোদয় উক্ত সভা আহবান করতে বাধ্য। এটা না হলে কমপক্ষে ৭ জন একত্রিত হয়ে সচিবের মাধ্যমে সভার নোটিশ জারি করতে পারবে। যদি কেউই দুই মাসের ভিতর সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন না করে, তাহলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংশ্লিষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা অন্য কোন বাণিজ্যক সংগঠনের নির্বাচনে প্রার্থী হইতে পারিবেন না। এ নিয়ম অনুযায়ী ইলিয়াছ খান বিরোধী গ্রুপটি সভার আয়োজন করেন এবং এজেন্ডা হিসাবে রাখেন সভাপতির অপসারনের ব্যাপারটি। বর্তমান নিসঙ্গ সভাপতি ইলিয়াছ খান এ ধরনের দাবার চালে মোটেই অভ্যস্ত ছিলেন না। গত সেপ্টেম্বর মাসের ১লা তাখিরের বৈঠকে যখন উনি উপস্থিত হন, তখন তার পক্ষে কথা বলার জন্য একজন সদস্যও কে খুজে পাওয়া যায়নি। উনার পক্ষে সর্বশেষ সমর্থনকারী মিজান আনসারী ও সভাপতির বিভিন্ন কর্মকান্ডে দারুনভাবে ক্ষুব্ধ হন এবং অন্য সমর্থনকারী আলআমিন দৃশ্যপটের আড়ালে চলে যান। সেপ্টেম্বরের ১৩ তাখিরের বৈঠকে উনি ও ইলিয়াছ খানের বিরুদ্ধে দেয়া অনাস্থা প্রস্থাবের পক্ষে সমর্থন করেন। সেপ্টেম্বর মাসের ১লা তারিখের বৈঠকে ইলিয়াছ খান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো স্বীকার করে নিয়ে আবারও সময় প্রার্থনা করেন। তখন তার এই বক্তব্যের সাথে উপস্থিত ১৮ জন নির্বাহী সদস্য দ্বিমত পোষন করেন। এক পর্যায়ে ইলিয়াছ খান বৈঠকে সিদ্ধান্ত সম্মলিত কোন কাগজে স্বাক্ষর না করে বৈঠকস্থল ত্যাগ করেন। চেম্বারের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা তখন নিয়মমাফিক সহ সভাপতি মাহফুজ আহমেদকে সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মাহফুজ আহমেদ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দায়িত্ব নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এবং সভাপতি হিসাবে তানজিল আহমেদের নাম প্রস্তাব করেন। সবাই এই প্রস্তাবকে সর্মথন করেন এবং তানজিল আহমেদকে সভাপতি এবং আল মামুনকে সহ সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করেন এবং গনমাধ্যমে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দেন। এ দিকে বৈঠক থেকে বেরিয়ে ইলিয়াছ খান ওনার সমর্থকদের সাথে নিয়ে এ ব্যাপারে বিস্তরিত আলোচনা করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন সাংবাদিক সম্মেলন করার। এ প্রতিবেদনের সাথে সাংবাদিক সম্মেলনের পূর্ব দিন ইলিয়াছ খান জানান যে, উনার পক্ষে অনেক নির্বাহী সদস্যদের সমর্থন আছে এবং উনারা সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। সাংবাদিক সম্মেলনের দিন প্রেস ক্লাবে গিয়ে দেখা যায়, সভাপতি মহোদয় উনার ছোট দুই ভাইকে নিয়ে ডায়সে উপস্থিত। চেম্বারের নির্বাহী সদস্য তো দূরের কথা উনার পক্ষে সদস্যদের কাউকে দেখা যায়নি। স্বভাবতই গঠনতন্ত্র সমন্ধে খুব একটা স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় এবং অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের প্রশ্নের মূখে বিব্রত বোধ করতে থাকেন। একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী শুধু মাত্র আইন না জানার জন্য কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় তা বোঝা গেছে ঐ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে। চেম্বার রাজনীতিতে ইলিয়াছ খানের ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, উনি জানতেন যে চেম্বারের সভাপতি মহোদয় সর্বেসর্বা. তাকে সরাবার বা তার কর্মকান্ডের বিরোধিতা করার মতা নির্বাহী সদস্যদের কারোই নেই। যে কোন একটি সংগঠন একটি গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যে কোন গঠন তন্ত্রেই দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যদের বা সংখ্যাগরিষ্ট সদস্যদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়ার কথা বলা আছে। ইলিয়াছ খান গত বৎসর সভাপতি নির্বাচিত হলেও চেম্বারের সাথে কাজ করছেন দেড় যুগের ও বেশী সময় । দীর্ঘদিন এ চেম্বারের সভাপতির পদ ধরে ছিলেন ফরিদ সাহেব। মান্ন গন্য ব্যক্তি হওয়ায় উনার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত চেম্বারের নির্বাচন বা কমিটি নিয়ে কেউ খুব একটা কথা বার্তা হত না। ইলিয়াছ খান দীর্ঘদিন ফরিদ সাহেবের সাথে কাজ করায় উনার মনেও বদ্ধমূল ধারণা জম্মায় যে সভাপতিই সব সিদ্ধান্ত নেবার মালিক এবং এ জন্য কাহারো সাথে সহযোগীতা বা উপদেশ গ্রহনের দরকার হয় না। চেম্বারের এই হ.ব.র.ল অবস্থা ব্যবসায়ীক সমাজের জন্য মোটেই ভাল নয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ুদ্র ব্যবসায়ীরা নানা বিধ সমস্যায় ভূগছে। এর মধ্যে হল বিভিন্ন সময় সরকারী অভিযান, টাকা আদায়, ফুটপাত দখল করে রাস্তা বন্ধ করা, আয়কর বিভাগের সাথে সমন্বয় করা। এখনও পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার এন্ড কমার্সের সরকারের বিভিন্ন সেবা খাত বা আয়কর নিয়ে কোন কর্মশালা করেছে কিনা কেউ জানে না। ক্ষুদ্র ঋণ বা ঝগঊ পজেক্ট নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সেমিনার বা কর্মশালা হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা এর সাথে মোটেই পরিচিত নয়। বর্তমানে যোগ তথ্য প্রযুক্তির যোগ। চেম্বারে কোন প্রকার পরিচিতি মূলক ডায়েরী নেই ওয়েব সাইট তো দূরের কথা। ব্যবসায়ী মহল আশা করে চেম্বারের এই নেতৃত্ব প্রযুক্তির দিক দিয়ে চেম্বারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় চেম্বারকে আধুনিক করবে । |