আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় থমকে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্যাস সংযোগ
শামীম উন বাছির: গ্যাস সংযোগের ঘোষণা সত্বেও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া গ্যাস পাচ্ছে না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়ার ঘোষণা দেন। এতে সমগ্র দেশবাসীর মত ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীও অনেক আনন্দিত। কিন্তু তাদের এই আনন্দ হঠাৎ করে থমকে গেছে। গ্যাস সংযোগ দেবার ঘোষণার অনেকদিন অতিবাহিত হলেও তিতাস থেকে নাম পরিবর্তন করে তা বর্তমানে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন। এ সংক্রান্ত মাঠ পর্যায়ের রাইজার উত্তোলনের কাজ এখনও আরম্ভ করতে পারে নাই। গ্যাসের চারনভুমি হওয়া সত্ত্বেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসী সহসাই গ্যাস সংযোগ পাচ্ছে না। এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, গত মাসে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের প্রধান কার্যালয়, কুমিল্লাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রাইজার উত্তোলনের দরপত্র আহবান করে। এই দরপত্রে ৫০% কমে দরপত্র দাখিল করে মেসার্স শাহাজান এন্ড বাদ্রার্স। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা হয় J K….RR কোম্পানী। শতকরা ৫০ ভাগ কমে দরপত্রে দাখিল করায় একটি প্রশ্ন উঠেছে এত কম টাকায় কিভাবে কাজ করা সম্ভব। এ ব্যাপারটি জানিয়ে কয়েকজন ঠিকাদার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউনের ব্যবস্থাপনা পরিচালনের কাছে এর সর্ম্পকে লিখিত অভিযোগ করে। পাশাপাশি অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্যাস সংযোগ বন্ধের সময় মেসার্স শাহজাহান এন্ড কোম্পানী অনৈতিকভাবে অনেক গুলো রাইজার উত্তোলন করেছে এবং এ বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করছে। এ দরপত্রের মাধ্যমে তারা তাদের দেয়া সংযোগগুলো বৈধ করার প্রক্রিয়া শুরু করবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের উপ মহাব্যবস্থাপক মহোদয় জানান, সঠিক সময়ে গ্যাস সংযোগের জন্য কুমিল্লা থেকে দরপত্র আহবান করা হয়। এখানে নিয়মানুযায়ী কাজটি পাবার কথা মেসার্স শাহজাহান এন্ড ব্রাদার্সের। কিন্তু কতিপয় ঠিকাদার অবৈধ সংযোগ বৈধ করার প্রক্রিয়া করার জন্য এত কমে দরপত্র দাখিল করেছে বলে অভিযোগ করেছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ প্রধান করেন। সীমিত জনবল নিয়ে এই অনুসন্ধান চালানো অনেক কঠিন। তারপরেও আমরা আপ্রাণ চেষ্ঠা করছি কাজটি শেষ করতে। আশা করি আগামী ঈদের আগেই বা ঈদের অব্যাহতি পরেই সংযোগ দেবার কাজ শুরু হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান সর্বোচ্চ কমে দরপ্রত্রের সাথে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতার ব্যবধান হল মাত্র ২৫ হাজার টাকা তার পর যে প্রক্রিয়ায় সুবিধা নেয়ার কথা বলা হয়েছে তা এক কথায় অসম্ভব। কারন রাইজার উত্তোলনের সময় এই দপ্তরের কর্মকর্তারা স্থান পরিদর্শন করবেন। অভিযোগ কারীর কথা যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তো এ সংশ্লিষ্ঠ গ্রাহকদের বিরুদ্ধে অবৈধ সংযোগের মামলা দায়ের করা হবে। |