Main Menu

ভরাট হয়ে যাচ্ছে মুন্সেফপাড়া ঐতিহ্যবাহী কাঙ্গালনাথের বাড়ি সংলগ্ন পুকুরটি, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার

+100%-

প্রতিবেদক : পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় একের পর এক ভরাট করা হচ্ছে পুকুর। গত কয়েক মাসে শহরের অন্তত পাঁচটি পুকুর ভরাট করে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে অদুর ভবিষ্যতে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।সাম্প্রতিক সময়ে ভরাট কাজ চলছে শহরের মুন্সেফপাড়া ঐতিহ্যবাহী কাঙ্গালনাথের বাড়ি সংলগ্ন পুকুরটিতে।

কাঙ্গালনাথের বাড়ি সংলগ্ন পুকুর ভরাটকারিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় নিজামুল হক খান নামের এক আইনজীবি ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম জেলা জজের আদালতে মামলা করেছেন। এছাড়া ওই আইনজীবি ভরাট বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা ও পরিবেশ অধিদপ্তরেও লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর আদালত ও পরিবেশ অধিদপ্তর ভরাট বন্ধ ও কারণ দর্শানোর জন্য স্বপন মিয়া নামের ভরাটকারিকে নোটিশ দিয়েছেন। কিন্তু এসব নোটিশের তোয়াক্কা না করে দিন-রাত ভরাট কাজ চলছে। ১০০ শতক আয়তনের পুকুরটির বেশিরভাগ অংশই ভরাট করা হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, খনন যন্ত্র দিয়ে বালু তোলে লোহার পাইপের মাধ্যমে পুকুরে ফেলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পুকুরটির অর্ধেকের বেশি অংশ ভরাট করা ফেলা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকার আবু তাহের মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার নেতৃত্বে ১৬ জন অংশীদার পুকুরটি ভরাট করতে মাঠে নেমেছেন। তিতাস নদী থেকে খনন যন্ত্রের মাধ্যমে বালু  তোলে শহরের পূর্ব মেড্ডা পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকা দিয়ে মুন্সেফপাড়ার ওই পুকুরে ফেলা হচ্ছে।
পুকুর ভরাটের নেতৃত্বদানকারি স্বপন মিয়া বলেন, ‘

এদিকে পুকুরটির ভরাট কাজ শুরু হওয়ার পর আইনজীবি নিজামুল হক খানের দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর পুকুর ভরাটে জড়িত ১৬ জনকে পুকুর ভরাট বিষয়ে শুনানীর জন্য গত ১৯ আগস্ট কার্যালয়ে হাজির হতে লিখিত নোটিশ দেয়। তারা ভরাটকৃত অংশের বালু অপনসারণ করতেও নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা কেউই ওই নোটিশের তোয়াক্কা করেননি।

এলাকাবাসী জানায়, খোলামেলা পরিবেশ, মহল্লার সৌন্দর্য ধরে  রাখাসহ নানা প্রয়োজনে ব্যবহারের এই পুকুরটি ভরাট করা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়ায় তারা পুকুর মালিককে কিছু বলারও সাহস পাচ্ছে না।

পুকুরের উত্তর পাড়ের বাসিন্দা আইনজীবি নিজামুল হক খান বলেন, এলাকার সব লোকজন গোসল এবং কাপড় ধোঁয়াসহ সব কাজই করতো এই পুকুরে। এখন ভরাট করে ফেলায় এসব কাজ করতে সমস্যার পাশাপাশি এলাকার শিশুদের সাঁতার শেখার সুযোগও বঞ্চিত হবে’।

জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির নির্বাহী সদস্য আলী আকবর মজুমদার বলেন, ‘পুকুর ভরাট করে পরিবশের বিপর্যয় ঘটানো ঠিক হচ্ছে না। এটা শহরবাসীর জন্য দুর্ভাগ্য। এমনভাবে সব পুকুর ভরাট হয়ে গেলে শহরের ভবিষ্যত কি?’

পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ছায়েফ উল্যাহ তালুকদার বলেন, ‘আমরা নোটিশ করার পরও তারা ভরাট কাজ বন্ধ করেনি। তবে এভাবে প্রকাশ্যে পুকুর ভরাট চললেও স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না’। তার অভিযোগ, তাদের (প্রশাসন) অবহেলার কারণেই পুকুরগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। 






Shares