ডেস্ক টোয়েন্টিফোর : ৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৮তম শাহাদাত বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের শোকাবহ এই কালোদিবসে সূর্য ওঠার আগে ধানমন্ডির বাসভবনে সপরিবারে তাঁকে স্বাধীনতা-বিরোধী চক্র নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, একে একে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামালকে। এ দিনটি যথাযথ মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালন করার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা তথ্য অফিস কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সকাল ৮.৩০ মিনিটে লোকনাথ দীঘির পাড় সমাবেশস্থল থেকে শোক র্যালী বের হয়ে আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ এসে শেষ হবে । তারপর জাতির জাতি জনকের প্রতিকৃতিতে পৃষ্পমাল্য অর্পণ ও মোনাজাত করা হবে আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে সকাল ৯টায়। অপরদিকে একই সময়ে জাতির জনকের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও স্বরচিত কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এইদিন সন্ধা ৭টায় গোর্কণঘাটে জাতির জনকের জীবনী ও কর্মের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণীর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে এবং একই সময়ে পৌর মুক্ত মঞ্চে জাতির জনকের জীবনী ও কর্মের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণীর আয়োজন করা হবে। দিবসটি উপলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা, জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে কবিতা পাঠ, রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, পথনাটক, রক্তদান, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়ার আয়োজন করবে। এছাড়াও সারদেশ ব্যাপি সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
|