চাঁদ দেখা গেছে, আজ ঈদ
ডেস্ক :চাঁদ দেখা গেছে। আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর। চারদিকে বেজে উঠেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের সেই অমর গান- ‘মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। এক মাস সিয়াম সাধনার পর বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানরা মেতে উঠছেন ঈদের আনন্দে। এই আনন্দের আমেজ মূলত রমজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ছড়াতে থাকে। আর এর পূর্ণতা আসে ঈদ উদযাপনের মধ্য দিয়ে। পবিত্র ঈদুল ফিতর যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদুল ফিতরের জামাত জেলা ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৯ টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে ঈদের প্রধান জামাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামে মসজিদে অনুষ্টিত হবে। এবারের ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মোহাদ্দেস এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামে সমজিদের খতিব আলহাজ্ব হরযত মাওলানা বেলায়েত উল্লাহ সাহেব। মাওলানা বেলায়েত উল্লাহ অসুস্থ বা অপারগ হলে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়ার মোহাদ্দেস জনাব আরহাজ্ব মুফতি শামসুল হক সাহেব ইমামতীর যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে । এ ছাড়া লোকনাথ দিঘীর পাড়ে, শেরপুর কবরস্হান মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পুরো শহরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ উৎসব উদ্যাপনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সড়ক সজ্জিতকরণসহ আলোকসজ্জার ব্যবস্থা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি হাসপাতাল, কারাগার, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুঃস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে ঈদের দিন উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাংসদ মহোদয়, পৌর মেহর, বিএনপির নেতা শ্যামল পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন। |