বিকল্প ব্যবস্হা না করে ব্রীজ ভেঙ্গে ফেলায় এলাকা বাসীর প্রচন্ড দূর্ভোগ
সুমন নূর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও যান বাহনের চাপে শহরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। শহরের প্রধান সড়ক টি এ রোড়ের ব্রীজটি শহরকে একত্রিত করেছে। প্রধান রাস্তাটি ট্রাফিক জ্যামের বা যানজটের জন্য সব সময় ব্যস্ত থাকে। ব্রীজের দক্ষিণ অংশের জনসাধারন বিশেষ করে শিশু ও মহিলারা হাসপাতাল, থানা, স্কুলে যাবার জন্য এতদিন কাজি পাড়া ও মৌলভী পাড়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ব্রীজের উপর দিয়ে যাতায়াত করত । এ ব্রীজটি সম্প্রতি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্হা না থাকায় এদিক দিয়ে চলাচলকারীরা ঝুঁকি নিয়ে নিচে দিয়ে আসা যাওয়া করছেন। মালামাল পারাপার নিয়ে পড়ছেন আরও বেকায়দায়। শহরের কাজীপাড়া উঃ মোড়াইল ও সরকার পাড়ার লোকজন সকাল থেকেই এই রাস্তা দিয়ে অন্নদা স্কুল, সূর্যমূখী স্কুল, হাসপাতাল, থানায় যাওয়া আসা করেন। সম্প্রতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা এখানে দিয়ে নতুন ব্রীজের জন্য কাযাদেশ প্রদান করেছে। এতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১.০৪ কোটি টাকা এবং এর বাস্তবায়ন মেয়াদ ১ বৎসর। অর্থ্যাৎ আগামী ২০১৪ইং সালের জুনের পূর্বে এই ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করা সম্ভব নয়। সামনে বর্ষা মৌসুম। অবধারিত ভাবেই এই খরস্রোতা খালে কোন নির্মাণ কাজ করা সম্ভব নয় । এখান দিয়ে কোন বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না থাকায় চলাচলকারী লোকজন বিশেষ করে শিশু ও মহিলারা প্রচন্ড দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। স্কুল গামী কাজী পাড়ার একজন অভিভাবক জানায়, এ দূর্ভোগের কোন অন্ত নেই। প্রায় প্রতিদিনই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচলের জন্য শিশু ও মহিলারা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সরকার পাড়ার বাসিন্দা একজন বয়স্ক মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসা করার জন্য যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওই ভাঙ্গাচূড়া স্থান টুকু পার হতে পারছিলেন না। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর অবশেষে তার এক আত্মীয় কোলে করে তাকে পার করেন। এখান দিয়ে বিকল্প রাস্তার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, সম্পুর্ণ এশিয়ান ডেভলাপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তাবায়ন হচ্ছে। এখানে বিকল্প রাস্তার কোন পরিকল্পনা নেই। পৌর সচিব বলেন, এ সমস্যাটি অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আগামীকালের সভায় এ বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরা হবে। কাউন্সিলার মোঃ শাহ আলম জানান, বিষয়টি নিয়ে পৌর মেয়রের সাথে কথা বলবেন । |