ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্থ
মনিরুজ্জামান পলাশ ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় নানা ত্রুটিতে গ্রাহকদের দূর্ভোগ চরমে পৌছেছে। প্রতিদিনের লোডশেডিং’র পাশাপাশি টানা দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে এ অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে । ব্যবসা বাণিজ্যের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ এর অভাবে। পুরনো ট্রানসফর্মারসহ যন্ত্রপাতি, লোকবলের অভাব, চাহিদানুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে প্রতিদিনই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পুরো পৌর এলাকা জুড়ে ১৪টি ফিডারে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ। ফিডার ভিত্তিক প্রতিদিন লোড শেডিং এখানে প্রতিদিনের ঘটনা। দিনে নির্ধারিত ১টি সময়ে ঘন্টাব্যাপী লোড শেডিং বিষয়টি গ্রাহকরা স্বাভাবিক ঘটনা বলে বাধ্য হয়েই মেনে নেয়। কিন্তু বিভিন্ন এলাকায় এখন অনির্ধারিত সময়ে টানা দীর্ঘ সময় এমনকি কয়েকদিন দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় গ্রাহকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। আর এর পেছনে জেলা সদরে অনেক দিনের পুরনো প্রায় ২ শতাধিক ট্রান্সফর্মারকে দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে অধিকাংশই অকেজো হচ্ছে কিছু দিন পর পরই। নতুন ট্রান্সফর্মার সরবরাহ না হওয়ায় পুরনোগুলো জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হয়। অকোজো ট্রান্সফর্মার খুলে মেরামতের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় খুলে নেয়া ট্রান্সফর্মার এর আওতাধীন এলাকায় টানা কয়েকদিন বিদ্যু সরবরাহ বন্ধ থাকার ঘটনা ঘটছে প্রায়শ। মেরামতে দীর্ঘ সময় পেন হওয়ায় শত শত গ্রাহক হচ্ছে দূভোগের শিকার। এছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে খুটি তার নতুন ট্রান্সফর্মার সহ আনুসাঙ্গিক যন্ত্রাদির চাহিদা থাকলেও তা সরবরাহ দেয়া হচ্ছে না। বিদ্যুৎ সংশ্লিস্ট সূত্র জানায় চলতি সপ্তাহে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১০ টি পুরনো ট্রান্সফর্মার অকেজো হয়েছে বজ্রপাত সহ ঝড় তুফানের জন্য। চলতি মাসে ব্রাণবাড়িয়ার প্রাণ কেন্দ্র শহর ফিডারে একটি ২শ কেভির ট্রান্সফর্মার অকোজো হয়ে পড়লে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক সহ ব্যবসায়ী এলাকা ৫ দিন বিদ্যুৎ বিহীন ছিল। বর্তমানে সবুজবাগ এলাকা রয়েছে তিন দিন যাবৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা হেবজুল বারী জানান, অকেজো ট্রান্সফর্মার মেরামতের জন্য কুমিল্লায় প্রেরণ করতে হয়। এতে যে সময় ব্যয় হয় তাতে গ্রাহকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। আমরা দিনে রাতে পরিশ্রম করে পুরনো ট্রান্সফর্মার গুলো জোড়াতালি দিয়ে বিদ্যু ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার চেস্টা করি। বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হান্নান জানান, বজ্রপাতসহ নানা কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হলে আমরা তাৎণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। নতুন ট্রান্সফর্মার এর জন্য চাহিদা উর্ধ্বতন কতৃপরে কাছে দেয়া হয়েছে। নতুন ট্রান্সফর্মার দ্রুত সরবরাহ জরুরী বলে তিনি দাবী করেন। গ্রীড লাইন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরবরাহ যা হয় তা দিয়েই চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। |