টানা বর্ষণে স্থবির জনজীবন, রাস্তায় বাড়ছে গর্ত
সুমন নূর : অব্যাহত ভারী বর্ষণে স্থবির হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনজীবন। গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে পৌর এলাকার অধিকাংশ মানুষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌরসভার ১০টি সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় বেড়ে গেছে জনদুর্ভোগ। রাস্তার ইট, বালু ও খোয়া সরে গিয়ে সেখানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ড্রেনগুলো থেকে নোংরা পানি প্রবেশ করছে রাস্তা-ঘাটসহ লোকালয়ে। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে দুর্গন্ধময় পরিবেশ। পথচারী ও সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনাও। স্থানীয় সূত্র জানায়, ১০ দিনেরও অধিক সময় ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি ও গত কয়েক দিনের অব্যাহত ভারী বর্ষণে পৌর শহরের ১০টি সড়কে জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বর্ষণে পৌর এলাকার ড্রেনগুলোতে উপচে পড়েছে দুর্গন্ধযুক্ত পানি। ক্ষতিগ্রস্থ ও জলাবদ্ধ রাস্তাগুলো হচ্ছে- হালদার পাড়া, মুন্সেফপাড়া, ফুলবাড়িয়া, কলেজ পাড়া, অন্নদা স্কুলের সামনের রাস্তা সড়ক। এছাড়াও এ সড়কগুলোর সাথে সংযোগস্থাপনকারী আরও বেশ কয়েকটি সড়কে পানি জমে বেহাল দশা। মুন্সেফপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও পৌর সুপার মাকেটের ব্যবসায়ী জাকির জানান, রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বহুবার পৌরসভাকে জানিয়েও কোন প্রতিকার হচ্ছে না। যেখানে সেখানে জমে আছে হাটু পানি। সবচেয়ে বড় কথা, জলাবদ্দ পানি সরার কোন ব্যবস্হা না থাকাতে পথচারীরা হাটাচলা করতে পারছে না। বিশেষ করে স্কুলগামী ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের সমস্যা হচ্ছে বেশি। স্কুল শিক্ষক সহিদ তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভারী বর্ষণ হলে রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। পথচারীরা আর হাটাচলা করতে পারে না। তাই অতিদ্রুত সড়কগুলো সংস্কার না হলে পৌরবাসীর দুর্ভোগ আরও বাড়বে।’ ইজিবাইকচালক মো. মোকলেস জানান, ভাঙা রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই রাস্তাগুলোর মেরামত অতি জরুরি। এ ব্যাপারে পৌরসভার নিবাহী প্রকোশলী জানান, ফান্ডের অভাবে চাহিদা অনুযায়ী ড্রেন তৈরী করা যাচ্ছে না। আপাতত জরুরি ভিত্তিতে ভাঙা সড়কের গর্তগুলোতে ইট, খোয়া ফেলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ |