Main Menu

মা দিবস আজ

+100%-

সবচেয়ে ছোট অথচ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মধুর শব্দ ‘মা’। যদিও মাকে ভালোবাসতে কিংবা মা’র প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দিনক্ষণ জরুরি নয়, তবুও পৃথিবীজুড়ে দীর্ঘ সময় ধরে একটা রেওয়াজ চালু হয়েছে ‘মা দিবস’ পালনের। সেই সূত্রে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন হয়। আজ (রোববার) সেই মা দিবস।

মা দিবসের পেছনের কথা

ইংরেজ কবি রবার্ট ব্রাউনিং বলেছেন, মাতৃত্বেই সকল মায়া-মমতা ও ভালোবাসার শুরু এবং শেষ। কথিত আছে, ব্রিটেনেই প্রথম শুরু হয় মা দিবস পালনের রেওয়াজ। তবে মা দিবস উদযাপনের সূত্রপাত করেন মার্কিন সমাজকর্মী জুলিয়া ওয়ার্টস। প্রথমদিকে প্রতিবছর মে মাসের চতুর্থ রোববারকে মাদারিং সানডে হিসেবে পালন করা হতো ব্রিটেনে। এটা ছিল সতের শতকের কথা। মায়ের সঙ্গে সময় দেওয়া ও মায়ের জন্য উপহার কেনা ছিল দিনটির কর্মসূচিতে। এরপর আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়াতে প্রথম মা দিবস পালন করা হয় ১৮৫৮ সালে। জুনের ২ তারিখকে তারা বেছে নিয়েছিল মা দিবস হিসাবে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উহলসন সর্বপ্রথম মা দিবসকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেসে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে এই দিনে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে মা দিবস।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য বিশেষ দিনগুলোর চেয়ে এ দিনটিতে সবচেয়ে বেশি ফোন কল হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভিআইপি কমিউনিকেশন এর জরিপে দেখা গেছে, এ দিনটিতে নববর্ষের চেয়ে ৮ শতাংশ, ভালোবাসা দিবসের চেয়ে ১১ শতাংশ এবং হ্যালোয়েনের চেয়ে ৬২ শতাংশ বেশি ফোন কল হয়। দক্ষিণ আফ্রিকানরা মা দিবসে ফোন করে সবচেয়ে বেশি। তাদের ফোন কলের হার বেড়ে ৯১ শতাংশ হয়েছে। যা অন্য বিশেষ দিনগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়াও তারা অন্যদের চেয়ে এ দিনটিতে ফোনে বেশি সময় ব্যয় করে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঘানার অধিবাসীরা। বিশ্বে মাত্র দুটি দেশ মিসর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মা দিবসে ফোন কলের সংখ্যা কমছে।

মা কথাটি ছোট্ট অতি!

তখন হয়ত মা দিবসের সূচনা হয়নি। কিন্তু কবিদের মনে মাকে নিয়ে কবিতার পঙক্তি ঠিকই উদয় হয়েছে। রচিত হয়েছে অসম্ভব সব কবিতা।-‘মা কথাটি ছোট অতি/কিন্তু জেনো ভাই, /ইহার চেয়ে নাম যে মধুর /ত্রিভুবনে নাই।/সত্য ন্যায়ের ধর্ম থাকুক/মাথার পরে আজি/অন্তরে ‘মা’ থাকুক মম/ঝরুক স্নেহ রাজি। …’ ছোটবেলায় কবি কাজী কাদের নেওয়াজের ‘মা’ শিরোনামের এই কবিতাটির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সময় হয়ত আমাদের অনেকেরই মায়ের গুরুত্ব, ভালোবাসা-স্নেহ সম্পর্কে সম্যক ধারণা ছিল না।পরে আমরা প্রত্যেকেই যত বড় হয়েছি, যত বুঝতে শিখেছি ততই মায়ের প্রতি ভালোবাসা, মা’র গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছি।

আমাদের জাতীয় কবি-বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘মা’ কবিতায় লিখেছেন-‘…কত করি উৎপাত/আব্‌দার দিন রাত,/সব স’ন হাসি মুখে, ওরে সে যে মা!/আমাদের মুখ চেয়ে/নিজে র’ন নাহি খেয়ে,/শত দোষে দোষী তবু মা তো ত্যাজে না।…’

এরকমভাবে অসংখ্য কবির কবিতায়, শিল্পীর গানে, সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের উচ্চারণে মায়ের গুণকীর্তন বর্ণিত হয়েছে। তবু মায়ের ঋণ সন্তানের পক্ষে শোধ করা সম্ভব নয়।






Shares