Main Menu

বৈশাখী উৎসবে ‘জাপানে রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদশনী

+100%-

প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে নতুন মাত্রা যুক্ত করলো ‘জাপানে রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। জেলা সদরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরে সাহিত্য একাডেমীর উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলায় ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের সংযোজন সমঝদারদের দৃষ্টি কাড়ে। চৈত্রসংক্রান্তি সংযোজনের মধ্যদিয়ে একই সঙ্গে বর্ষবরণেরও শুভ উদ্বোধন হয় ১৩ এপ্রিল শনিবার।  
আলোকাচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী মো. মোস্তফা জালাল। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বৈশাখী উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক এ.কে.এম. শিবলী, কবি ওয়াহিদুর রহমান, অধ্যাপক মিজানুর রহমান শিশির, কিশোরচিত্র পত্রিকার উপদেষ্টা ঠাকুর জিয়াউদ্দিন আহমদ, দুর্লভ আলোকচিত্রগুলোর সংগ্রাহক-জাপান প্রবাসী লেখক-রবীন্দ্র গবেষক এবং মাসিক কিশোরচিত্র সম্পাদক প্রবীর বিকাশ সরকার। অতিথিবৃন্দ ঐতিহ্যগত চৈত্রসংক্রান্তি এবং বাংলা বর্ষের ইতিহাস, গুরুত্ব এবং তাৎপর্য নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল। আলোকচিত্রগুলোর ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা প্রদান করেন এসবের সংগ্রাহক প্রবীর বিকাশ সরকার। প্রদর্শিত আলোকচিত্রগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেন ত্রিপুরা থেকে আগত অতিথি বিশিষ্ট কবি ও সাংস্কৃতিককর্মী শৈলেন্দ্র দাস। প্রদর্শনীতে প্রায় শতবর্ষী প্রাচীন ৩৬টি আলেকচিত্র স্থান পায় যার অধিকাংশই জাপানে গৃহিত। প্রবীর বিকাশ সরকার জানান, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঁচবার জাপান ভ্রমণ করেছিলেন সেই সময় এই ছবিগুলো তোলা হয়েছে তৎকালীন প্রভাবশালী জাপানি ব্যক্তিদের সঙ্গে। যেগুলো প্রায় অজানাই থেকে গেছে বাঙালি এবং ভারতবাসীর কাছে। আলোচনা শেষে ‘বিদায় ও বরণ সঙ্গীত’ নামে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দেয় স্থানীয় সংস্থা আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।






Shares