Main Menu

নকল করতে বাধা দেওয়ায় শিক্ষক মারধরের ঘটনায় মামলা

+100%-

প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় নকল করতে বাধা দেওয়ায় শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নির্যাতিত শিক্ষক আবদুস শরীফ সরকার বাদী হয়ে সোমবার রাতেই অজ্ঞাতনামা কয়েক ছাত্রকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। আগামী ১৯ এপ্রিল শুক্রবার পরীক্ষার দিন শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজয়নগর উপজেলার কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. শফিকুর রহমান বলেন, “আবদুস শরীফ সরকার আমার কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সুতরাং ওই কলেজের অধ্যক্ষের এ ব্যাপারে মামলা করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি মামলা করতে রাজি হননি। পরে শরীফ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেন।”

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, “আগামী শুক্রবারে পরীক্ষা শেষে আবদুস শরীফ সরকার তাদের চিহ্নিত করবে। তারপর তাদের গ্রেফতারর করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মামলা ও পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, সোমবার এইচএসসির পদার্থবিদ্যা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের ৩০২ নম্বর কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন আবদুস শরীফ সরকার। পরীক্ষা চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের কয়েকজন ছাত্র নকল করতে চাইলে দায়িত্বরত শিক্ষক শরীফ তাদের বাধা দেন। এতে ওই ছাত্ররা ক্ষুদ্ধ হয়।

পরে জেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনে ওই ছাত্ররা হাতে থাকা ইস্পাতের স্কেল দিয়ে শিক্ষককে মারধর করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবারও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কাজী জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি নিজেও একজন শিক্ষক। শিক্ষককে মারধরের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। যেসব ছাত্ররা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে।’

ওই কলেজের অধ্যক্ষ প্রফুল্ল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘মারধরের ঘটনাটি কলেজের বাইরে ঘটেছে। তাই সেই শিক্ষক নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা সার্বিক সহযোগিতা করছি।’

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রব জানান, ঘটনার অনেক পরে রাতে তারা বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন এবং অজ্ঞাতনামা কয়েক ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনি আরও জানান, মহিলা কলেজের ওই কক্ষটিতে মোট ৬৪ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে কারা শিক্ষককে মারধর করেছে তা সনাক্ত করতে পারলে তাদের গ্রেফতার করা হবে।






Shares