বিএসটিআই’র লাইসেন্স না থাকায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২০টি ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
প্রতিনিধি॥ নগরায়নের অবকাঠামো ও নির্মান কাজের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন ইটভাটায় মানসম্মত ইট উৎপাদন হচ্ছে না। ফলে এ সমস্ত ইট দিয়ে নির্মিত অবকাঠামোও টেকসই হচ্ছে না। অথচ এ সমস্ত ইট বিভিন্ন ভাটাগুলো উৎপাদিত করে দেদারসে বিপনন করছে। এমনি ২০টি ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে বিএসটিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে। চট্টগ্রাম বিএসটিআই আঞ্চলিক অফিস সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিএসটিআই’র সহকারী পরিচালক কেএম হানিফের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কসবা, সরাইল, বিজয়নগর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ২০টি ইটভাটায় গত ১৫ ও ১৬ জানুয়ারী অভিযান চালিয়ে মানসম্মত উৎপাদিত ইট পায়নি। উৎপাদিত ইটের গুনগত মান বাংলাদেশ সরকারের জারীকৃত মানের সমপর্যায়ের যাচাই বাছাই না করে এবং বিএসটিআইয়ের সিএম লাইসেন্স গ্রহন বা নবায়ন না করে উৎপাদিত ইট বিক্রি ও বিতরন করছে। বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫ এবং সংশোধিত আইন ২০০৩ এর ২৪ ধারার পরিপন্থি এবং ৩১ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচ্য হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত রবিবার বিকেলে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইটভাটা গুলো হচ্ছে আশুগঞ্জের ফেরিঘাটে মেসার্স সোনালী ব্রিক্স, তাজপুরের মেসার্স এফ এম ব্রিক্স, সরাইলের শাহবাজপুরের মেসার্স আহাদ ব্রিক্স, মেসার্স আহাদ ব্রিক্স-২, মেসার্স নিউ আহাদ ব্রিক্স, মেসার্স ন্যাশনাল ব্রিক্স এন্ড কোং, মেসার্স বলাকা এন্ড কোং (জিকজাক) ব্রিক্স, বিজয়নগরের রামপুরের মেসার্স যমুনা ব্রিক্স, ইব্রাহিমপুরের মেসার্স হাজী ব্রিক্স, বুধন্তীর মেসার্স টি এন্ড সি ব্রিক্স ও মেসার্স জামান ব্রিক্স ম্যানুফেকচারার্স, কসবা’র তিনলাখপীরের মেসার্স নিউ ইসলাম ব্রিক্স ও য়ৈদাবাদের মেসার্স কসবা ব্রিক্স ম্যানুফেকচারার, আখাউড়ার ধরখারের মেসার্স এসএমবি ব্রিক্স এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সুহিলপুরের মেসার্স হানিফ ব্রিক্স, দাতিয়ারার মেসার্স সূর্বণা ব্রিক্স, পূর্ব মেড্ডার মেসার্স মদিনা এন্ড মক্কা ব্রিক্স, উজানিসারের মেসার্স আলম ব্রিক্স ও মেসার্স আশরাফ ব্রিক্স, ঘাটুরার মেসার্স নিউ রাজধানী ব্রিক্স ফিল্ড। |