১ মিনিটের ব্ল্যাক আউট ৪৫ সেকেন্ডেই শেষ হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
গণহত্যা দিবস উৎযাপনের অংশ হিসাবে রোববার রাত ৯ টায় সারা দেশে এক যোগে এক মিনিট অন্ধকারচ্ছন্ন রাখার কর্মসূচী ঘোষনা করে সরকার। এ কর্মসূচীকে উৎযাপনের লক্ষে বিকাল থেকে বিকল্প পদ্ধতি (আইপিএস, জেনারেটর) ব্যবহার করে আলোর না জ্বালানোর জন্য অনুরোধ জানিয়ে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা?
ঘড়ির কাটায় ঠিক রাত ৯টা। স্থান জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দস মাখন মুক্ত মঞ্চের সামনে রাস্তা। চলে গেল বিদ্যুৎ। ফিরে এল ঠিক ৪৫ সেকেন্ড বাদে। আর এ সময়ে সেখানকার বিভিন্ন বানিজ্যক প্রতিষ্ঠানে বিকল্প ব্যবস্থায় আলো সরবরাহ থাকতে দেখা যায়। কেউ কেউ অবশ্য সাংবাদিকদের অবস্থান দেখে বাতি নেভানোর চেষ্টায় ছিল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এ অবস্থা শহরের বেশির ভাগ এলাকার।
১ মিনিটের সরকারি কর্মসূচি কেন ৪৫ সেকেন্ডেই শেষ? এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, এটি প্রতীকি ব্ল্যাক আউট ছিল। সেকেন্ডের এমন হের ফের হয়েই থাকে, কিছু মনে করবেন না। ডিজিটাল ঘড়ি আর কাটার ঘড়ির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও ধারণা তার।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. রেজওয়ানুর রহমান বলেন, শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা না জানিয়ে আলো জ্বালিয়ে রাখা দুঃখ জনক। আমাদের উচিত হবে তাদের দেশ প্রেম শেখানো।