হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২ নেতা



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাম্প্রতিক তাণ্ডবের ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুবারক উল্লাহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন। সোমবার (০৭ জুন) ঘোষিত ধর্মভিত্তিক এ সংগঠনের ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাজিদুর রহমানকে যুগ্ম মহাসচিব এবং মুফতি মুবারক উল্লাহকে সম্মানিত সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সাজিদুর রহমান হেফাজতের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাম্প্রতিক তাণ্ডবের ঘটনায় জেলার বিশিষ্টজনরা গ্রেফতারের দাবি তোলার পর থেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন হেফাজত নেতা সাজিদুর রহমান ও মুবারক উল্লাহ। তবে সেমবার (০৭ জুন) কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাজিদুর রহমানকে দেখা গেছে।
তাণ্ডবের ঘটনায় সাজিদুর রহমান ও মুবারক উল্লহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেওয়ার জন্য গত ১ মে থানায় এজাহার জমা দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি। এ ছাড়া গত ২ জুন সাজিদুর রহমান ও মুবারক উল্লাহকে গ্রেফতারের দাবিতে সচেতন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। তারা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তিন দিনের ওই তাণ্ডবে অন্তত ১১ জন নিহত হন। এ সব ঘটনায় মোট ৫৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাগুলোতে এজাহারনামী আসামির সংখ্যা ৪১৪ জন, অজ্ঞাতনামা আসামি ৩৫ হাজারেরও বেশি।