Main Menu

সুনামগঞ্জের বন্যার্ত পাশে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আলেম সমাজ,ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ

+100%-
আমিন ব্যাপারী:: সিলেটের সুনামগঞ্জের সোনাপুর, বিষম্ভপুর দোয়ারা, মার্কাজ পাড়া,সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজ রোডসহ বিভিন্নস্থানে বন্যার্ত (৫০০) অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার আহবানে জেলার সকল কওমী মাদ্রাসা, মহিলা মাদ্রাসা,তাওহিদী জনতার পক্ষ থেকে আজ সোমবার দিনব্যাপী এই ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস ও  কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষাবোর্ড আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ার কো-চেয়ারম্যান আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান এর নেতৃত্বে ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা আলী আযম, শায়খুল হাদীস মুফতী বোরহান উদ্দিন কাশেমী, মাওলানা আঃ মতিন,মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ সিরাজী, মাওলানা জসিম উদ্দিন,মাওলানা কামাল উদ্দিন কাসেমি, মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান,মুফতি জাকারিয়া খান,মাওলানা এমদাদ উল্লাহ,মুফতী জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে প্রতি পরিবারকে ১০কেজি চাউল, ২কেজি ডাউল, ৩কেজি আলু,২ লিটার সয়াবিন তৈল, ২ লিটার মিনারেল ওয়াটার, ওরস্যালাইন, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রসহ প্রত্যেক পরিবারকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণকালে আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান বন্যার্ত অসহায় মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, সিলেটের আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দুঃখদুর্দশায় আমরা নিজেরা ও দুঃখিত। আজ আমরা আপনাদের পাশে দাড়াতে ও আপনাদের প্রতি সাহায্যের হাত প্রসারিত করতেই ব্রাক্ষণবাড়ীয়া থেকে সুনামগঞ্জে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা মনোবল হারাবেন না, আজ গোটা বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে উলামায়ে কেরাম আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান বলেন, ইসলাম সহমর্মিতা ও মানবতার কল্যাণের ধর্ম। ইসলামের আদর্শ ই হচ্ছে একে অপরের সহযোগিতা করা, একজন আরেকজনের পাশে দাড়ানো।
ইসলামের এই সু-মহান শিক্ষার চেতনার আলোকে আজ আলেম উলামাগণ সিলেট সহ দেশের বিভিন্নস্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে সাধ্যমতো সাহায্যের হাত প্রসারিত করে যে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে চলছে তা চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবে।তিনি সকলকে নিজেদের পাপাচার থেকে তাওবা করে আল্লাহতায়ালার দিকে ফিরে আসার আহবান জানান।





Shares