সম্মেলনকে ঘিরে সেজেছে জেলা শহর :মোকতাদির চৌধুরী এম.পি কে ‘গুরুত্বপূর্ণ পদে’ দেখার প্রত্যাশা নাগরিক ব্যক্তিত্বদের
ডেস্ক ২৪:: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন উপলক্ষে সাজতে শুরু করেছে জেলা শহর। ইতোমধ্যেই দলীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে। শহরর মোড়ে মোড়ে বড় বড় ব্যানারে শোভা পাচ্ছে সম্মেলনের তারিখ। এখন জেলা শহরের আলোচনার মূল বিষয় ২২ ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে। কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কে কে হবেন, কে কোন গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন, কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে কে কে স্থান পাবেন।
নাগরিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কথা বলে একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া গেছে, তারা চান এ অঞ্চলের রাজনীতিকে চাঙ্গা করতে এই অঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতা নির্বাচন। এক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য,বিশিষ্ট লেখক, বীর মুক্তিযোদ্ধা,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি কে গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জননেতা আল মামুন সরকার বলেছেন,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন স্মরণকালের সবচেয়ে বেশী বর্ণাঢ্য কলেবরে অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের নতুন সময়ের সৃষ্টি করবে। আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সারা বাংলাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জানান, কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে ঘিরে তাদের মধ্যে ঈদ উৎসবের মতো আমেজ বিরাজ করছে। ঢাকায় যেতে মাইক্রোবাস, বাস ও অন্যান্য পরিবহনের ব্যবস্হা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে ১১৪ জন কাউন্সিলরও ১১৪ জন ডেলিগেট সহ প্রায় ৪ হাজারের মত নেতাকর্মী সম্মেলনে যোগদান করবেন। মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু আরও বলেন, এ অঞ্চলের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য ও ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মাখন এবং এডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু এমপি মারা যাবার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা এখনও সেভাবে পূরণ হয় নি। আসন্ন কেন্দ্রীয় সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ পদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নেতা নির্বাচন করার মাধ্যমে সেই শূণ্যতা দূর হবে বলে মনে করি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট লেখক,যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা রাখেন । দুইবারের সফল নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রভূত উন্নয়ন করছেন। একজন সফল সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি সমধিক পরিচিত। ফলে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব নেয়ার সক্ষমতা রাখেন। মোকতাদির চৌধুরী এম.পির দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ এখন সমগ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর প্রানের দাবী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি, সুভাষ পাল বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন দেশের রাজনীতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্মেলন উপলক্ষে ইতোমধ্যে জেলায় আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। এই উৎসব তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি কে নির্বাচিত করা হবে। জেলার সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করা দেখে মনে হয়েছে, তিনি শুধু সাংগঠনিকভাবেই দক্ষ না,একজন দক্ষ প্রশাসকও।বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে ,তা অন্য যে কোন জেলার জন্য অণুকরনীয়। এট সম্ভব হয়েছে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পির বিচক্ষনতা ও অনুকরণীয় নেতৃত্বের জন্যে। তাকে নির্বাচিত করার মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তথা এ অঞ্চলের রাজনীতি আরো চাঙ্গা হবে বলে মনে করি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ হারুণ-অর-রশিদ বলেন, সম্মেলন উপলক্ষে অন্যান্য জেলা ও নগরের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্তমানে রাজনৈতিক শূণ্যতা অনুভব করছি। এবছর কাউন্সিল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত করে সেই শূণ্যতা দূর করা হবে বলে মনে করি। কারণ মোকতাদির চৌধুরীর বিকল্প কেউ নেই, তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হবার যোগ্য।