আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর সুবিধার্থে
শহরের পুনিয়াউট বাইপাসে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে —- জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন
রোববার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কোরবানীর পশুর হাট, পশু জবেহ্করণ ও বর্জ্য অপসারণ বিষয়ক এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্ম মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার আল মামুন, এনএস আইএর উপ পরিচালক মোঃ আলমগীর হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈনুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি খ. আ. ম রশিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান জায়েদুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার গাজী মোঃ রতন মিয়া, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, দৈনিক সমতট বার্তার সম্পাদক মনজুরুল আলম, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণের সম্পাদক কবি আব্দুল মান্নান সরকার, জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা নাজমুল হক, কমরেড নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম শাহজাদা, স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক এস এম শাহীন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের চিন্তা মাথায় রেখে কোরবাণীর পশুর হাট স্থানান্তর সংক্রান্ত গত বছরের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শহরের পুনিয়াউট বাইপাসে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে সুদীর্ঘ কাল যাবৎ পৌরসভার এদমাত্র কোরবাণীর পশুর হাটটি অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে আয়োজন করা হতো। বর্তমান পর্যায়ে মাঠটি দেওয়াল পরিবেষ্টিত অবস্থায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় এবং স্কুলের মাঠ ব্যবহারে আইনগত বাধা থাকায় চলতি বছরে পৌর এলাকার একমাত্র কোরবাণীর পশুর হাটটি পুনিয়াউট পাইপাস সড়কের পশ্চিম পাশে বালুর মাঠে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হাটের আয়োজনসহ ক্রেতা বিক্রেতা বিক্রেতার সুযোগ সুবিধাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পৌরসভা পালন করবে। পুলিশ প্রশাসন এই হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদান করবে। যাতে করে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের কোন সমস্যায় পড়তে না হয়। পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা রাখতে পৌরসভা নাম মাত্র নির্ধারিত হাসিল আদায় করবে। যার মাধ্যমে মাঠের রক্ষণাবেক্ষণসহ প্রয়োজনীয় খরচাদি মিঠানো হবে। তিনি এ সময় পশুর হাটটি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য পৌর পরিষদসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।