মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর ঘটনায় ফেঁসে গেছেন পুলিশের এসআই
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে গিয়ে ধরা খেয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের এক এসআই। জামিরুল ইসলাম নামের ওই এসআই এরআগে সদর মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে- রোববার সদর মডেল থানা ভবন থেকে জব্দকৃত একটি মোটরসাইকেল নিয়ে পালান জামিরুল। কাউকে না বলে মোটরসাইকেল নেয়ার সময় থানা ফটকে কর্তব্যরত কনস্টেবল সালাউদ্দিন তাকে বাধা দেন। কিন্তু বাধা না মেনে জামিরুল মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যান। পরে রাতেই তাকে মোটর সাইকেলসহ সদর মডেল থানা পুলিশ আটক করে। জামিরুল বর্তমানে হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত। গত ৩ রা আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি মো. উবায়দুল্লাহকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন জামিরুল।
এসময় মারধর করে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেন উবায়দুল্লাহর। পরে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে জামিরুলের হাত থেকে ছাড়া পান ওই দফতরি। এঘটনায় ৫ই আগস্ট তাকে এই থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর রাঙামাটি জেলার বরকল থানায় যোগ দেন এই এসআই। গত ১১ই নভেম্বর তিনি হাইওয়ে পুলিশের সদর দফতরে যোগদান করেন। সদর মডেল পুলিশ জানায়-ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যাওয়ার আগে একটি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করে জামিরুল। কিন্তু কোন প্রকার মামলা না দিয়ে সেটি তার হেফাজতে রেখে দেন। এমনকি যাওয়ার সময় এবিষয়ে থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেননি। বর্তমান কর্মস্থল থেকে রোববার বিকেলে এসআই জামিরুল ইসলাম সদর মডেল থানায় আসেন। থানায় এসে শিকল কেটে ওই মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যান। পরে রাতে শহরের পুনিয়াউটের একটি মোটর গ্যারেজ থেকে তাকে আটক করা হয়। সারা রাত তাকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। ঘটনাটি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতাসহ হাইওয়ে পুলিশ বিভাগকে অবগত করা হয়। সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাঁটিহাতা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনুল ইসলামের কাছে সদর মডেল থানা পুলিশ তাকে হস্তান্তর করে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে সদর মডেল থানার ওসি মো: সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন।